তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ প্রায় ৫৬৬ একর জমি উদ্ধার করা হবে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সারাদেশে নদ-নদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি এবং বেড়িবাঁধে আশ্রয় গ্রহণকারী ভূমিহীন মানুষের পুনর্বাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে সব জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্স একথা জানানো হয়।
সচিব বলেন, আমরা ৫০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এই অভিযানের পর সীমানা চিহ্নিতকরণের জন্য দ্রুত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। উচ্ছেদ করা জায়গা প্রয়োজনে সামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য দেওয়া যেতে পারে। আমরা যেন মাসে অন্তত দু’বার অভিযান পরিচালনা করতে পারি প্রত্যেক জেলায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
পানিসচিব আরও বলেন, কোনো পরিস্থিতিতে যদি তালিকাভুক্ত কোনো স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে বাদ পড়ে সেখানে তা বাদ দেওয়া যাবে না। আইনের পক্ষে ও রাষ্ট্র্বের পক্ষে এ অভিযানে আমরা কোনো বাধাই মানবো না।
সব জেলার সঙ্গে মতবিনিময়কালে সচিব সব জেলার প্রতিক্রিয়া ও উচ্ছেদ অভিযান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান সমস্যা শোনেন এবং তা সমাধানে দিকনির্দেশনা দেন। এছাড়া পানি আইন-২০১৩ দ্বারা গঠিত ৬৪ জেলার জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে নদীভাঙন কবলিত সত্যিকারের ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
জিসিজি/এএ