রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরগুনা শহরের পৌর মার্কেটের সামনে বসে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড় দেখা গেছে পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে।
নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষ উভয়ই কিনছেন শীতের পোশাক।
বিক্রির উদ্দেশে খুলনা থেকে বরগুনায় শীতবস্ত্র নিয়ে আসা দোকানি হাসান ও হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, পুরাতন সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেট মাত্র ১০০ টাকায় বিক্রি করছি। এখানে শীত বেশি হওয়ায় পোশাক যা এনেছি সব বিক্রি হয়ে যাবে। হয়তো আবারও খুলনা থেকে শীতবস্ত্র আনা লাগবে।
ফুটপাতের পাশে শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আক্কাস বলেন, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন দোকানে। আমরা সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মাফলার, হাত-পায়ের মোজা ইত্যাদি পোশাক বিক্রি করি। যার সর্বনিম্ন দাম ৬০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০০
টাকা।
সদরঘাট মসজিদের সামনের শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সব ধরনের পোশাক বিক্রি করি। পোশাকের দাম ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা।
পুরাতন জ্যাকেট বিক্রেতা কানন জানান, দাম কম শুনে অনেকে বেছে কিনছেন। বেচাকেনা কিছুটা জমে উঠেছে। প্রতিদিন ১০-১৫টি জ্যাকেট বিক্রি করতে পারি। প্রতিটি জ্যাকেট ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা সাথী আকতার জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ছে, তাই পোশাক কিনতে এসেছি। ঘরের সবার জন্য ১৫০০ টাকায় পোশাক কিনেছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসন থেকে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে। প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) শীতবস্ত্র বিতরণ করার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ