সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, থার্টিফার্স্টে বরাবরের মতোই ছাদের ওপর ও খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
তিনি বলেন, হাতিরঝিল এলাকায় রাত ৮টার পর কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাবির আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত ও শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদকসেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাউ না করা হয়, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে কোনো ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
তিনি বলেন, মাদকসেবন করে কেউ বেপরোয়া যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি। অ্যালকোহল টেস্টের জন্য গুলশান, বনানী, হাতিরঝিলসহ একাধিক এলাকায় কিটসহ পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে।
উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না কেন জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত স্থানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কারণ উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিনই। এজন্য ইনডোর অনুষ্ঠানে উৎসাহিত করা হলেও সেক্ষেত্রেও পুলিশকে অবহিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯ (আপডেট: ১৪৩০)
এমএমআই/একে