বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১১টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের কাশিয়াবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নিশিতা পরিবহনের হেলপার লিখন আহমেদ (২৩) ও বাসযাত্রী ও নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকার ছাবেদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩২)।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি (পশ্চিমাঞ্চল) নাটোরের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, গাইবান্ধা থেকে নান্নু পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলো। একই সময়ে বিপরীত দিক থেকে নাটোর থেকে নিশিতা পরিবহনের একটি বাস বগুড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলো। এসময় ফিডার রোড থেকে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে ওঠার পর দুই বাসের সামনে পড়ে যায়। এ অবস্থায় ওই মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে ওই দুই বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিশিতা পরিবহনের হেলপার লিখন আহম্মেদ মারা যান। আহত হন দুই বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফারুক হোসেন নামে আরও একজন মারা যান।
নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এনটি