বগুড়া সদর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিলালুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহারে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পুলিশের দায়ের করা মামলাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আবু হাসান। তিনি বলেন, বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ও সরকারি চাকরি করছেন, এমন ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। যা থেকে মামলার অভিযোগগুলো সত্য নয় বলেই প্রমাণিত হয়।
এর আগে, বুধবার (১ জানুয়ারি) সংগঠনের ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা দুপুরে শহরের শহীদ খোকন পার্কে জমায়েত হয়। পরে তারা জুতা-স্যান্ডেল পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে পড়ে। এসময় তাদের নামিয়ে দিতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সনাতন চক্রবর্তীসহ পাঁচ সদস্য আহত হয়। তাদের মধ্যে পারভেজ নামে এক কনস্টেবলের মাথা ফেটে যায়। তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জনকে আটক করে। পরে আরও ১৮ জনকে আটক করে।
মামলার এজাহারে স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>বগুড়ায় ছাত্রদলের হামলায় ৫ পুলিশ আহত, আটক ১১
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
কেইউএ/এসএ