রোববার (০৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজনীতিকরা যখন ক্ষমতায় যান তখন পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি ভুলে যান- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামালের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্রও বটে।
পড়ুন>>বিএনপির পরিবারতন্ত্রের চিত্র তুলে ধরলেন হাছান মাহমুদ
‘আমি তাকে ডাটাগুলো দেখার জন্য অনুরোধ জানাবো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ছিল ১৮ শতাংশের কম। এখন ২২ দশমিক ৪ শতাংশ। বনভূমির পরিমাণ ছিল ৯ শতাংশ, এখন সেটি ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। শিল্প কারখানায় ৩০ শতাংশ ইটিপি ছিল, এখন ৮৫ শতাংশের বেশি। সুন্দরবনে আগে কার্বন স্টক ছিল ১০৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন, এখন ১৩৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ’
সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সবিনয়ে বেগম সুলতানা কামালের কাছে অনুরোধ জানাবো, এই ডাটাগুলোয় নজর দেওয়ার জন্য। এগুলোর দিকে তাকালে সুলতানা কামাল নিজে দেখতে না পারলেও জাতিসংঘ লক্ষ্য করেছে।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতিবিদরা ক্ষমতা পাওয়ার পর বাংলাদেশে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে অনেক কাজ হয়েছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ওয়ার্ল্ড লাইফ অ্যাওয়ার্ড চালু করা হয়েছে, সামজিক বনায়নের মাধ্যমে ব্যাপক বনায়ন করা হয়েছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে যারা কাজ করে তাদের পুরস্কৃত করার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক চালু করা হয়। ’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম সুলতানা কামাল যে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন, সেই বাপাকেও জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয়েছে। আমি যখন পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলাম তখন বাপা আবেদন না করলেও আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে পদক দিয়েছিলাম। যে পত্রিকা কোথায় পরিবেশ সংরক্ষণের দৃষ্টি নিপাত করে পরিবেশমন্ত্রীর কার্টুন ছাপিয়েছে সেই পত্রিকাকেও জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয়েছে। ’
‘বেগম সুলতানা কামাল নিশ্চয়ই এ ডাটাগুলো দেখলে এবং তিনি একটু চিন্তা করলে তিনি তার বক্তব্যের জন্য লজ্জা পাবেন,’ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ