জানা যায়, ২০ দিন আগে হামিম ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পড়ে গিয়ে হাতে ব্যথা পায়। তাকে স্থানীয় কবিরাজ আলী আকাব্বর সরদারের কাছে চিকিৎসা করানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হামিমের বড় বোন রোকসানা বলেন, আমার ভাই হামিম ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে হাতে ব্যথা পেলে স্থানীয় আলী আকাব্বর সরদার নামে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গেলে তিনি হাতে লতা-পাতা দিয়ে বেঁধে দেন। এর পর ওই হাতে পচন ধরলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার ভাইয়ের হাতের অবস্থা খারাপ দেখে গত ৩ জানুয়ারি তার ডান হাত কেটে ফেলেন। হামিম এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে কবিরাজ আলী আকাব্বর সরদারের ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে হাঁড়ভাঙা চিকিৎসক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রথমে আলী আকাব্বর সরদার চিকিৎসা করেছেন, এরপর আমার কাছে এলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।
এ ব্যাপারে বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতি জানান, আলী আকাব্বর নামে স্থানীয় এক কবিরাজের ভুল চিকিৎসার কারণে স্কুলছাত্র হামিমের হাতে পচন ধরায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা পচন ধরা হাতটি কেটে ফেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
আরএ