রোববার (০৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার নবীনকৃষ্টপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই ছাত্রের চোখ ওঠানো অবস্থায় ছিল।
নিহত কামরুল ইসলাম ওই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাটোর শহরের চকরামপুরে অবস্থিত রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আরএসটিইউ) বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে কামরুল ইসলামকে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি কামরুল। আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পায়নি তার পরিবার।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার নবীনকৃষ্টপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগানের ভেতর তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এসময় তার ঘাড়ে আঘাতের চিহ্নসহ একটি চোখ ওঠানো অবস্থায় ছিল।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করা হচ্ছে। কেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, ঘণ্টা ০৬, ২০২০
এসএইচ