সোমবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডাক্তার বিলকিস বেগম। বর্তমানে ছুটিতে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ছুটিতে থাকলেও ওই ছাত্রীর চিকিৎসার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
মেয়েটি অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ফরেনসিক পরীক্ষায় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মানে ঘটনার সময় ধর্ষক তার গলা চেপে ধরেছিল। এই কারণে চিকিৎসাধীন মেয়েটির কথা বলতে একটু কষ্ট হচ্ছে। বোর্ডের সদস্য নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখেছে।
এদিকে মেয়েটির চিকিৎসায় গঠিত সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, তার (ছাত্রী) গলার দুই পাশে নখের আঁচড় দেখা গেছে। গলা চেপে ধরার কারণে কথা বলতে একটু তার কষ্ট হচ্ছে। নাকের উপরেও নখের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের সেই ছাত্রীর ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন ফরেসনসিক চিকিৎসক বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ। আর ধর্ষণের ঘটনায় এক না একাধিক ব্যক্তি জড়িত তা নিশ্চিতে ওই ছাত্রীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
তবে ধর্ষণের ঘটনায় একজন অপরাধী, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী।
সকালে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হওয়া ঢাবির ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সালমা রবকে। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগ, ইএনটিসহ অন্য বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন বোর্ডে।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
**ঝোপের মধ্যে পড়ে ছিল ঢাবি ছাত্রীর বই-ঘড়ি-ইনহেলার
**শাহবাগ থেকে সড়ক অবরোধ তুলে ফের বিক্ষোভের ডাক
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এজেডএস/জেডএস