সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী।
আটক চারজন হলেন- পটুয়াখালীর সদর থানাধীন নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান খলিফার ছেলে মূলহোতা মো. লাল মিয়া ওরফে লালু (২৫), নোয়াখালীর চাটখীল থানাধীন মমিনপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. ইয়াছিন ওরফে পপো (১৮), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানাধীন পারাজার গ্রামের মো. মাসুক মিয়ার ছেলে মো. শাহীন (২৬) ও সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ এলাকার মো. আজিজুল হাকিম ভূঁইয়ার ছেলে মো. নাজমুজ সাকিব ওরফে অনিক (১৫)।
আটকদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী জানান, রোববার (৫ জানুয়ারি) পটুয়াখালী ও সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক করা হয়। আটক চারজন পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য। এরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করতেন। গত ১ জানুয়ারি তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায় এক ট্রাকচালককে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে ট্রাকচালকের সহযোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে অপরাধীদের ধরতে কাজ শুরু করি। শুরুতে এ ঘটনার কোনো ক্লু ছিল না। পরে আমরা বিভিন্নস্থানে অভিযান ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার কারখানা থেকে একটি ট্রাক কার্টন বোঝাই করে আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এদিকে ওই কারখানার ম্যানেজার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের মোড়ে অপেক্ষা করছিল। কারখানার ম্যানেজারকে ট্রাকে উঠানোর জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা ট্রাকচালক সিরাজুলের ওপর হামলা চালায়ে তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সিরাজুল তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা সিরাজুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় ট্রাকের হেলপার রাজু চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সিরাজুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সিরাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
আরআইএস/