সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ পরিদর্ক (এসআই) খন্দকার মাহমুদ।
মনির হোসেন পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার গোপালনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ী ভিসায় ০৭৭০৭০১ নম্বর পাসপোর্টধারী যাত্রী মনির হোসেন সোমবার সকালে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস ও বর্ডার গার্ডের তল্লাশি শেষে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের কাস্টমস ওই যাত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন আকারের প্রায় ২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে। এসময় মনির হোসেনকে আটক করে তারা। চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মনির হোসেন ব্যবসায়ী ভিসায় প্রায় সময় বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতে প্রবেশ করলেও ফেরেন বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে। প্রথমবারের মত সোমবার বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। বুড়িমারী স্থলবন্দর ত্যাগের আগে বিজিবি ও বাংলাদেশ কাস্টমস ডগ স্কট দিয়ে তল্লাশির পরে বন্দর ত্যাগের অনুমতি পান মনির হোসেন। বুড়িমারী স্থলবন্দর ত্যাগের পর চ্যাংরাবান্ধা কাস্টমসে স্বর্ণসহ বাংলাদেশিকে আটকের বিষয়টি রহস্যজনক বলেও জোর দাবি করেন তিনি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামে একটি অনলাইনেও বাংলাদেশি মনির হোসেন আটকের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর অতিক্রমের পরে ভারতীয় চ্যাংরাবান্দা স্থলবন্দরে স্বর্ণসহ বাংলাদেশি আটকের বিষয়টি স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (এসি) সোমেন কুমার চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
আরএ