ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সত্য-মিথ্যা যাচাই ছাড়া পোস্ট শেয়ার করবেন না: শেখ হাসিনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
সত্য-মিথ্যা যাচাই ছাড়া পোস্ট শেয়ার করবেন না: শেখ হাসিনা

ঢাকা: সত্য-মিথ্যা যাচাই ছাড়া ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাতে কিন্তু অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। সমাজের ক্ষতি হয়, ব্যক্তির ক্ষতি হয়, বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়।’

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাচাই না করে অর্থাৎ সেটা সত্য না মিথ্যা তা সেটা যাচাই করতে হবে।

যাচাই না করে কারো কোনো ধরনের মন্তব্য দেওয়া বা আসলে ওখানে ছোঁয়াও উচিত না। সেটাতে হাত দেওয়াই উচিত না। তাতে কিন্তু অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। সমাজের ক্ষতি হয়, ব্যক্তির ক্ষতি হয়, বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। ’

‘কাজেই আমি বলবো যেকোনো পোস্ট শেয়ার করতে গেলে আগে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে তা কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা। এ বিষয়টা বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো পোস্ট বা যেকোনো কিছু শেয়ার করা বা ইন্টারনেটে কোনো অ্যাপ্স দেখলেই সেটা যাচাই না করে শুধু মাত্র গুজবে কান দিয়ে বা শুধু মাত্র নিজে একটা কৌতূহলবশত সেগুলোতে না প্রবেশ করাটাই ভালো। ’

‘সেটা আমাদের সমাজের জন্য, আমাদের দেশের জন্য, প্রত্যেকের ব্যক্তি জীবনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। ’

গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে এমনভাবে একটা কিছু তৈরি করে ছেড়ে দেয় ওটা দেখলে যেকোনো মানুষের ক্ষতি হয়। পরে দেখা যায় ওটা সম্পূর্ণ ভুয়া। ’

‘সেই সঙ্গে দেশের মানুষকে বলবো, একটা কিছু আসলো অমনি সেটা শুনে সেখানে রিঅ্যাক্ট করা, সেটা শুনেই কোনো কিছু করা সেটা কিন্তু ঠিক না। সঠিক তথ্যটা যাচাই করে নেওয়া দরকার। ’

সাইবার ক্রাইম বিষয়ে বাবা-মা, অভিভাবক-শিক্ষকসহ সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম যেগুলো হচ্ছে, এ সম্পর্কে অর্থাৎ সাইবার নিরাপত্তা, অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। মানুষ যেন এ ব্যাপারে আরও সজাগ হয়- অভিভাবক শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। ’

‘অনেক সময় ছেলে-মেয়েরা এতে বিপথে চলে যায়। অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। অনেক ধরনের ক্রাইমের সঙ্গে তারা জড়িত হয়ে পড়ে। সেটা যেন না হতে পারে এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে,’ বলেন তিনি।  

শিশু-কিশোরদের মোবাইল ব্যবহার: অভিভাবকদের সর্তক থাকার পরামর্শ

শিশু-কিশোদের মোবাইল ব্যবহারে বাবা-মা, অভিভাবক-শিক্ষকদের সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন কিন্তু তারা কী দেখছে, কোথায় যাচ্ছে তার ওপর নজরদারি অবশ্যই থাকতে হবে। সেটা প্রত্যেক অভিভাবক, বাবা-মাকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। আসলে এটা একটা আসক্তির মতো হয়ে যায়। ’

তিনি বলেন, ‘কতক্ষণ একটা বাচ্চা, তরুণ এই অ্যাপসে বা ইন্টারনেটে বা মোবাইলে থাকবে, আইপডে থাকবে বা কম্পিউটারে থাকবে। দীর্ঘ সময় থাকলে এটা মনের ওপর একটা চাপ আসে, এটা শরীরের ওপর চাপ আসে। চোখের ক্ষতি হয়। ব্রেনের ক্ষতি হয়। ’

‘এই বিষয়গুলোর ওপর সচেতনতাটা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কাজেই আসক্তিতে যেন কোনো তরুণ না পড়ে। কোনো শিশু কিশোর না পড়ে বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে এটা আরো বেশি প্রযোজ্য। সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। ’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখা প্রতিষ্ঠান ও সফল ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা সনদ ও  পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।