রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহানগরের শাহ মখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ওই জিডির সূত্র ধরেই নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় তার বাবা আগেই ‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ দিয়ে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন। এতে বলা হয়েছিল- ‘মতিয়ারা খাতুন নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে হারিয়ে গেছেন। হারানোর সময় তার পরনে ছিল সাদা সোয়েটার ও লাল জামা। তার উচ্চতা ৬ ফুট, দেখতে শ্যাম বর্ণের, বয়স ২৮ বছর। কেউ তার খোঁজ পেলে বাবা আমিরুল ইসলামকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। আর এজন্য পোস্টারে মোবাইল নম্বর ও ঠিকানাও দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুরে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আপতত এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের সামনে একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ ও মরদেহ উদ্ধার করে।
** পুকুরে ভেসে উঠলো নারীর অর্ধগলিত মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এসএস/আরবি/