সিলেট: ১৬৪ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেট রুটে নামলো আন্তঃনগর জয়ন্তিকা-উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন।
শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সিলেট-ঢাকা রুটে যাত্রীসেবায় ট্রেন দু’টি চালিয়েছে রেলপথ বিভাগ।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার থেকে ঢাকা রুটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করেছে। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে এবং রাত ১১টা ৩০ মিনিটে উপবন ঢাকার উদ্দেশে সিলেট স্টেশন ছাড়বে।
তিনি বলেন, সিলেট-চট্রগ্রাম রেলপথে আন্তঃনগর ৬টি ট্রেন চলাচল করতো। এর মধ্যে ঢাকা রুটে কালনী, জয়ন্তিকা, পাহাড়িকা ও উপবন এক্সপ্রেস। চট্রগ্রাম রুটে চলতো আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস। করোনায় সব ক’টি ট্রেন বন্ধ রাখা হয়। এরইমধ্যে ঢাকা রুটে আন্তঃনগর কালনী ও চট্রগ্রাম রুটে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চালু করা হয়। এর আগে ৫ মাস বন্ধ থাকার গত ১৬ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে।
করোনাকালে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সর্বশেষ জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন করে আরও ১৯ জোড়া আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। আজকের ১৯টিসহ সব মিলিয়ে মোট ৬৭ জোড়া, অর্থাৎ ১৩৪টি ট্রেন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ আগস্ট থেকে আরও ১৮ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপরেই আজ ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ আরও ১৯টি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে চলাচল শুরু করা ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম- ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর গোধুলী/প্রভাতী, চট্টগ্রাম-ঢাকা চট্টগ্রাম তুর্ণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রংপুর এক্সপ্রেস।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ বাজার সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর লোকাল, রহনপুর-খুলনা মহানন্দা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহার পদ্মরাগ কমিউটার, খুলনা-গোয়ালন্দঘাট-খুলনা নকশিকাথাঁ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী-পার্বতীপুর-রাজশাহী উত্তরা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মহুয়া এক্সপ্রেস এবং খুলনা-বেনাপোল-খুলনা বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০
এনইউ/এমএইচএম