ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় আগের জায়গায় ফিরতে চান কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
বগুড়ায় আগের জায়গায় ফিরতে চান কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা

বগুড়া: স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের জায়গায় ফিরতে চান বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানান্তরিত হওয়া কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ব্যাপারে সভা করে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত দাবিনামা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বগুড়া ফতেহ আলী বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু কালাম।

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে খুচরা ও কাঁচাবাজার স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন আশানুরূপ বেচাকেনা না হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। লোকসানের মুখে এর মধ্যেই নিজেদের দোকান গুটিয়ে নিয়েছে মাছ ও মাংস বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ করোনা প্রকোপের ফলে কাঁচাবাজার শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হলেও শুধুমাত্র ফতেহ আলী বাজারের বিক্রাতারা এখানে দোকান বসিয়েছেন। শহরের রাজাবাজার, লাইন বাজার (রেললাইনের উপরে বসা বাজার) ও চাষি বাজারের বিক্রেতারা তাদের দোকান স্থানান্তর করেননি। ফলে ক্রেতারা এদিকে আসছে না তেমন। বেচাকেনাও হচ্ছে না আশানুরূপ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানান্তর হওয়া কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা গল্প করে অলস সময় পার করছেন। অন্য পাশে মাছ ও মাংস বিক্রেতারা এর মধ্যেই গুটিয়ে নিয়ে বন্ধ রেখেছেন দোকানপাট। সবজি বিক্রেতারাও হাঁটছেন সেই পথেই।

শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানান্তরিত কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আনোর হোসেন, মতিয়ার রহমানসহ একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত শুক্রবার তারা শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে দোকান স্থানান্তর করেন। প্রথম দিন ভালোই বিক্রি হয়। কিন্তু এরপর থেকে ক্রেতারা এদিকে তেমন না আসায় আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ফতেহ আলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান স্থানান্তর করলেও রাজাবাজার, লাইন বাজার ও চাষি বাজারের ব্যবসায়ীরা আগের জায়গাতেই রয়ে গেছেন। তাই বেচাকেনা হচ্ছে না বললেই চলে।

তারা আরও বলেন, ঠিকমতো বেচাকেনা না হওয়ায় লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাই মেলাতে পারছেন না। মাছ ও মাংস বিক্রেতারা লোকসানের মুখে পড়ে এর মধ্যেই দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। এরকম চলতে থাকলে আমাদেরও দোকান বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

ফতেহ আলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাল শেখ বলেন, জেলা প্রশাসক বাজার খুলতে নিষেধ করেছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠে বাজার বসাবেন না। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করেছেন। তবে ফতেহ আলী বাজার খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
কেইউএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।