ঢাকা: বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছেই।
এ বিষয়ে সোমবার (১২ এপ্রিল) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ: কীভাবে সামলাবো?’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক, ড. ফাহমিদা খাতুন সূচনা বক্তব্যে মন্তব্য করেন গত বছরের চেয়ে এই বছর সংক্রমণের হার অনেক বেড়েছে। গত বছর আমরা দেখেছিলাম লকডাউন বেশ ঢিলেঢালাভাবে হয়েছিল।
তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
‘আমাদের করোনা ভাইয়াস নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, টিকা প্রস্তুতকরণে দেশের ভেতরের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করতে হবে।
বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করবেন, যা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করেন, লকডাউনের অর্থনৈতিক একটি প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বাধা দেবে। জীবন-জীবিকার মধ্যে এখন জীবনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এসেছে।
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
এমআইএস/এএ