খুলনা: খুলনায় সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের (এসসিএমএফপি) আওতায় গণমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ ও কলাকৌশল বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) অর্ধদিবসব্যাপী খুলনার গল্লামারীস্থ মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম সাগর ও উপকূলের জলজ সম্পদ আহরণের পরিকল্পনা করেন। সরকার সমুদ্রের মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ ও মজুদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের জিডিপিতে মৎস্য সেক্টেরের অবদান অনেক। তিনি বলেন, এখনও মাছ ধরতে ক্ষতিকর বিষ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হচ্ছে, এক্ষেত্রে মৎস্য দপ্তরকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয় এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হলো উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরূপণ, সংরক্ষণ, সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিংড়ি ক্লাস্টার উন্নয়ন এবং উপকূলীয় প্রান্তিক জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন করা। এই প্রকল্প খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জ জেলার ৭৫টি উপজেলার ৭৫০টি ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে ২৯টি ইউনিয়নে প্রকল্প চলমান আছে, যার মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হবে।
সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট খুলনার উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ধ্রুব অ্যাডভাটাইজিংয়ের টিম লিডার ড. অলিউর রহমান।
কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এমআরএম/এমআরএ