পটুয়াখালী: পায়রা সেতু চালু হওয়াতে বন্ধ হয়েছে লেবুখালীতে ফেরি চলাচল। এতে ফেরিকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করা অনেকে বেকার হয়ে পড়েছেন।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে দৃষ্টি নন্দন পায়রা সেতুটি চালু হওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকার দৈনিক মজুরির শ্রমিক, ভাসমান চিড়া, শরবত, আচাড়ের হকার ও মাছ ব্যবসায়ী এবং ভাড়ায় চালিত নৌকা ও মটরসাইকেল, স্থানীয় অস্থায়ী দোকানের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুপাড়ের সহস্রাধিক মানুষের জীবিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়।
কিছুদিন আগেও লেবুখালী ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। যার ফলে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের কাছে এবং একস্থান থেকে অন্যস্থানে পারাপারে চলতো বহুরুপী বাহন। এসব বাহনের মাধ্যমে ভাড়া চালিয়ে আয় করে জীবন ও সংসার চালাতো এসব পেশার মানুষ। সেতুটি চালু হওয়ার পরে ফেরিঘাটে আসছে না কেউ। তাই অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেছেন।
আবার কেউ কেউ একই পেশায় থেকে পায়রা সেতু টোলপ্লাজার আগে বাসস্টপে থেমে থাকা বাসে হকারি করছেন। হকারদের মধ্য থেকে কেউ কেউ ব্রিজের অ্যাপোচ সড়কে ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বা হেটে হেটে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিক্রির আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
হকার খালেক, রাসেল ও ইয়াছিন বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে ঘাটে ব্যবসা করে জীবন ও সংসার চালাতাম। আগে ফেরিতে বসেই বিক্রি করতাম। ঘাটে যানজট লাগলে বিক্রি করতাম। এখন আগের মত বিক্রি নেই। অনেকে অন্যকাজ করে। কেউ ঢাকা চলে গেছেন। যেখানে দিনরাত জনসমাগম ছিল, আজ সেখানে নিরবতা। আমরা নতুনভাবে শুরু করলাম।
অনেকেই বলছেন ব্রিজের দক্ষিণ পাশে পটুয়াখালী প্রান্তে সেতু প্রকল্পে ১৪শ’ মিটার নদী শাসনের আওতায় ব্লক দ্বারা বেষ্টিত করা হলে এর সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটন ও বিনোদন প্রেমীরা আসবেন সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। আবার কেউ কেউ দাবি করছেন পূর্বের ন্যায় লঞ্চ টার্মিনাল স্থাপনের। এছাড়াও ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি খাল আছে, সেখানে একটি ব্রিজ দেওয়া হলেও এই বাজারটি টিকে থাকতে পারবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এমআরএ