ঢাকা: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রত্যাহার চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি বিষয়টি উল্লেখ করেন।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাব সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান রয়েছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দ্রুত প্রত্যাহার ও এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ জানান ড. মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর ব্লিংকেনকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চিঠিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সংখ্যালঘু ও শ্রম অধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানও চিঠিতে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
চিঠির বিষয়ে ড. মোমেন রোববার সিলেটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে টেলিফোনে যে বিষয়গুলো আলাপ হয়েছিল, সেগুলোই চিঠিতে লিখেছি। র্যাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। র্যাব একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য। প্রতিষ্ঠানটির কারণে সন্ত্রাস, মাদক ও মানবপাচার কমেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে তাজ্জব মনে হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে এটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
টিআর/এমজেএফ