ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র মানুষ।

 

যান চলাচল ও দৈনন্দিন কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে গরম কাপড়ের জন্য সৃষ্টি হয়েছে হাহাকার। সব মিলিয়ে জবুথবু হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ পুরো উত্তরের জনপদ।

গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে বিরাজ করছে শীতের প্রবল আবহ। প্রায় সারাদিনই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে চারপাশ। সেইসঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে মৃদু হিমেল বাতাস। দুপুরের দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ২/১ ঘণ্টার মধ্যেই তা উধাও হয়ে যায়।  ফলে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। দুপুর নাগাদ শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও বিকেল থেকে আবারও বাড়ছে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডার প্রকোপ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে।  

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) এই পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে। কুয়াশা ও বাতাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গড় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রিতে। ফলে কুঁকড়ে পড়েছে পরিবেশ ও জীবন যাপন। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে মাত্র ২ গজ দূরেও দেখা যাচ্ছে না কিছু। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় রেলপথ ও সড়কে অল্প সংখ্যক যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্টেশন বাস টার্মিনালসহ জনসমাগম স্থানগুলোতে লোকজনের উপস্থিতিও কম। সরকারি বেসরকারি অফিসে কর্মজীবীরা এলেও কাজে কর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বের হলেও কাজ না পেয়ে অনেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।  

রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পথে ও মাঠে নেমে সামান্য কাজ করেই শীতে কাবু হয়ে পড়ছে। হিম শীতল আবহাওয়ায় মুহূর্তেই জমে যাচ্ছে শরীর। একাধিক গরম কাপড় গায়ে দিয়েও শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না। তাই কাজ ছেড়ে হাত গুটিয়ে একটু তাপের জন্য ছুটতে হচ্ছে আগুনের আঁচ পেতে।  

সামর্থ্যবানরা শীতবস্ত্র পড়ে, আগুন তাপিয়ে, ঘরে থেকে শীত থেকে বাঁচতে পারলেও হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা খুবই করুণ। তারা না পারছে শীত নিবারণ করতে, না পারছে খাবার সংগ্রহ করতে। ফলে দূর্বিষহ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। তাই তাদের মধ্যে একটা শীত বস্ত্রের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে।  

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি শৈত্য প্রবাহের কারণে এমন পরিস্থিতি। আরও ২/৩ দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়বে। তবে চলতি মাসেই আরও একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।