ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীর শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতাকে সম্মাননা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
রাজশাহীর শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতাকে সম্মাননা 

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের সম্মাননা জানানো হয়।

 

রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে তাদের সম্মানীয় আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পুর্নবাসন বোর্ড গঠন করেছিলেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে নির্যাতিতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে সমাজ ও পরিবারে আলোকিত জীবন দান করেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নারীদের মর্যাদা দান করে তিনি প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন নারী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। তাদের মধ্য থেকে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে একজন করে মোট পাঁচজনকে চূড়ান্তভাবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচন করে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচক কমিটি।

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে সিরাজগঞ্জের মোছা. সানজিদা আক্তার শিমু, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে রাজশাহীর ড. হোসনে আরা আরজু, সফল জননী নারী হিসেবে বগুড়ার বুলবুলি রাণী বর্মন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমী নারী হিসেবে বগুড়ার মোছা. ফৌজিয়া হক বীথি ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাবনার মোছা. কামরুন নাহার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন।  

এর আগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার জীবন সংগ্রামের ওপর ধারণ করা ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জিয়াউল হক স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহিন আক্তার রেনী, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মুজাহিদুল ইসলাম ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সুজায়েত ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এসএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।