ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২৬৪ ফুট লম্বা রেললাইন, ১২ ঘণ্টার কাজ ৬ ঘণ্টায় শেষ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
২৬৪ ফুট লম্বা রেললাইন, ১২ ঘণ্টার কাজ ৬ ঘণ্টায় শেষ

পাবনা (ঈশ্বরদী): পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ঈশ্বরদী-নাটোর সেকশনে ২৬৪ ফুট লম্বা ব্রিজের সংস্কারের জন্য সিসিক্রিপ দিয়ে অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় রেললাইন তৈরি করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পাকশী বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১২ ঘণ্টার কাজ মাত্র ৬ ঘণ্টায় শেষ হয়েছে।

 

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় ঈশ্বরদী-আজিমনগর রেলরুটের মাঝামাঝি পাটিকাবাড়ি ২১৩ নাম্বার রেলব্রিজ সংস্কারের উপযোগী করে তুলতে অস্থায়ী ব্যবস্থাপনাতে রেললাইন নির্মিত করে পরীক্ষামূলকভাবে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে।

শনিবার (১২ মার্চ) ১৪২ বছর আগের পুরোনো রেলব্রিজের পিলারের বেডব্লকে ঢালাই কাজ শুরু হবে।  

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী-আজিমনগর রেলসেকশনের ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আপ লাইনে (আপ-ডাউন) বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করানো হয়। এতে প্রত্যেকটি ট্রেন প্রায় ১০ মিনিট দেরি হয়।  

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পুরোনো ২৬৪ ফুট লম্বা সেতুর একটি লাইন অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময় থেকে কয়েক ঘণ্টা বেশি লেগেছিল। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন পিছিয়ে গেছে সংস্কার কাজ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কাজের মেয়াদ ৪৫ দিন ধরা হয়েছে।  

এদিকে ঈশ্বরদী-আজিমনগর রেলসেকশনে আড়াই শতাধিক রেলকর্মচারী নিয়ে অস্থায়ী রেললাইন তৈরি সংস্কার কাজের নেতৃত্ব দেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রকৌশলী (সেতু) লিয়াকত আলী খাঁন, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম।  

সকাল থেকে অস্থায়ী রেললাইনের কাজটি শেষ হলে, রেলব্রিজ পরিদর্শন করেছেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগীয় রেলসেতু প্রকৌশলী, নাজিব কায়সার, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সাজেদুল ইসলাম, পাকশীর ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আবু তৌহিদ সুমন, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) হাসান আলী হাসান, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) বাকিয়াতউল্লাহ, সহকারী প্রকোশলী (কার্য) আতিকুর রহমান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পদ্মা ট্রেডিং এর স্বত্ত্বাধিকারী আনোয়ারুল ইসলাম বাবু।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ১৪২ বছরের পুরোনো ২১৩ নাম্বার রেলব্রিজটির পিলারের ওপরে, গার্ডারের নিচে বেডব্লক ফাটল দেখা দেওয়ার কারণে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো এসে থেমে যেত। ঝুঁকিতে ট্রেন চলাচল করছিল। এই ব্রিজটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, বর্তমানে সিসিক্রিপের ওপরে পুরোনা রেলব্রিজের ৬ গার্ডার বসানো হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে রেললাইন তৈরি করে এক ফুট ফাঁকা রাখা হয়েছে। যেন সংস্কার কাজ করা যায়, ট্রেন যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে। সংস্কার কাজ চলাকালীন ট্রেন চলাচলে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।