ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২১৬২ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে: অর্থমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
২১৬২ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে: অর্থমন্ত্রী ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশের সঙ্গে ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি হিসেবে দুই হাজার ১৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহের সঙ্গে ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি হিসেবে দুই হাজার ১৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময়ে বর্তমান ও আগের চুক্তি হতে দুই হাজার ৮৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে।

আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ১৩ হাজার ৪৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশের ক্রমাগত উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা ভাইরাসের কারণে তা কমে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও নিরলস কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তেমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েনি। বরং মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, শুল্ক ফাঁসি বন্ধে শুল্ক স্টেশনে আমদানিকৃত ঘোষণা ইত্যাদি বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিযেছে। এগুলো হলো—আমদানিকৃত পণ্য ছাড় করার লক্ষ্যে বিল এন্ট্রি দাখিলের সময় সিস্টেম বেইজড ভ্যালু ডিক্লারেশন ফরম চালু করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সিস্টেম বেইজড ভ্যালু ডিক্লারেশন ফরম চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিস্টেম থেকে মূল্য সংক্রান্ত অপঘোষণা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। অপঘোষণা ও করফাঁকি রোধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফাঁকিকৃত রাজস্বের সর্বনিম্ন শতকরা ২০০ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ ভাগ জরিমানা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে অঘোষণা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।