ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পশুর নদী খননের বালু থেকে তিন ফসলি জমি রক্ষার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
পশুর নদী খননের বালু থেকে তিন ফসলি জমি রক্ষার দাবি ছবি: শাকিল

ঢাকা: মোংলা বন্দরের চ্যানেল পশুর নদী থেকে ড্রেজিংয়ে উত্তোলনকৃত বালু ফেলার জন্য স্থান নির্ধারিত করা হয় বাগেরহাটের চিলা ইউনিয়ন ও খুলনার বানিয়াশান্তা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ তিন ফসলি জমিতে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা হারাচ্ছে।

এ অঞ্চলের মানুষের একমাত্র জীবিকার উৎস কৃষি জমি এখন হুমকির মুখে। কৃষি জমিকে বাঁচাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের বালু ফেলার পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিল করা দরকার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

রোববার (১০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পশুর নদীর খননকৃত বালু থেকে তিন ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় সংগঠনটি।

এ সময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার মোংলা শাখার আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ।  

তিনি বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বছরে বিঘাপ্রতি দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে জমির মালিকদের। কিন্তু এলাকার কৃষকরা বিঘাপ্রতি একটি জমিতে চার লাখ টাকার তরমুজ ও দুই সিজনে চার লাখ টাকার ধান বিক্রি করে। অর্থাৎ যেখানে এক বছরে কৃষকরা আট লাখ টাকার ফসল বিক্রি করতে পারে, সেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে মাত্র দুই লাখ টাকা।

নূর আলম শেখ বলেন, বেপরোয়া শিল্পায়নের কবলে থাকা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত পরিবেশ সংকটাপন্ন যেসব এলাকায় উচ্চ আদালত যেকোনো ভরাট ও শিল্প স্থাপন নিষেধ করেছে, মোংলা ও দাকোপ উপজেলায় জেলা প্রশাসন ও বন্দর থেকে চিহ্নিত স্থানগুলো সেই এলাকার অন্তর্ভুক্ত। জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে স্থানীয় জনসাধারণের ব্যাপক প্রতিবাদ উপেক্ষা করে পশুর নদীর খনন করা মাটি ও বালু ফেলার মাধ্যমে মোংলার ৭০০ একর জায়গায় বালুর পাহাড় গড়ে অসাধু শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিয়েছে। একইসঙ্গে দাকোপ উপজেলার বাণীয়াশারা ইউনিয়নের ৩০০ একর জমিতে পশুর নদীর খননকৃত মাটি ও বালু ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। পশুর নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলনকৃত বালু ভরাট এখন শহর পাড়ে ব্যাপক উদ্বেগের কারণ। এক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে তিন ফসলি জমি ধ্বংস না করতে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনাও লঙ্ঘিত হচ্ছে।

পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্বচ্ছভাবে যথাযথ পরিবেশগত অভিঘাত পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে পশুর নদীর নাব্যতা সংকট সমাধান করতে হবে।

বাপার কোষাধ্যক্ষ মহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি ও বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, যুগ্ম সম্পাদক শারমীন মুরশিদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।