নীলফামারী: সৈয়দপুর-পার্বতীপুর রেলপথের সৈয়দপুর অংশে বসছে নিয়মিত নানা সওদার বাজার। এই রেলপথে বসে স্বাস্থ্য সচেতনতায় জরিবটি বিক্রি হচ্ছে।
সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এসব দোকানপাট। এ পথে প্রতিদিনই আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনসহ ১২টির মতো ট্রেন চলাচল করে থাকে। সৈয়দপুরে গেল এক বছরে ১০/১২ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে উল্লেখিত স্থানে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। মাঝে মধ্যে রেললাইনের দুপাড়ে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চলে। পরে আবার সেটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
সরেজমিনে রেলপথের ওপরে স্ট্যান্ডে কাপড় ঝুলিয়ে হকারদের বিক্রি করতে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ট্রেন আসার সময় আমাদের জানা আছে। তাই আসার আগেই সতর্ক হয়ে যাই। সব নিয়ে লাইনের সাইডে দাঁড়াই। এখানে বসা সব দোকানদারদের একই কথা। কথা হয় পুরনো কাপড় বিক্রেতা নাশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দোকান ভাড়া নেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই এখানে সকাল-বিকেল বসি। এর জন্যও তাঁকে চাঁদা দিতে হয় বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে আইনে রেলপথের দুই পাশে অন্তত ২০ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু রেলের শহর সৈয়দপুরে এই নিয়ম মানতে নারাজ।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী বলেন, রেললাইনের অবৈধ বাজার উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, নানা জটিলতায় তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। বাজার উচ্ছেদ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বাজার থেকে চাঁদা তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন। কেউ চাঁদা তুলে থাকলে সেটা তাঁর জানা নেই।
সৈয়দপুর রেলওয়ের পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান জানান, খুব শিগগিরই রেলের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা আবারও উচ্ছেদ করা হবে। সৈয়দপুর রেলকেন্দ্রীক শহর তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে সচেতন করতে হবে। কারণ এই পথে নির্ধারিত ট্রেনের বাইরেও রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য কোচ আনা-নেওয়া করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
আরএ