বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাসরঘরে স্বামীর সহযোগিতায় এক নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে তার দুলাভাই আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আলমগীর হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ (১৮) ধুনট উপজেলার বিশ্বহারিগাছা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। একই এলাকার সরোয়া-পাঁচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে গত ২৩ মার্চ ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেয় বরপক্ষ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নববধূ ও তার স্বামী ফরিদুল বাসরঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর সরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে খাওয়ান। কিছুক্ষণ পর বাসরঘরে ঘুমিয়ে পড়েন নববধূ। এরপর ফরিদুলের সহযোগিতায় আলমগীর সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরের দিন (২৪ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখেন আলমগীর তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছেন। আর তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম একই ঘরের পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন। নববধূ এ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। উল্টো নববধূকে তারা মারধর করেন। এ অবস্থায় ২৫ মার্চ রাতেও একই কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন আলমগীর। তখন বিষয়টি টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বললে স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় নববধূর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত বগুড়ার ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে। মামলায় আলমগীর, নববধূর স্বামী ফরিদুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বাংলানিউজকে বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
কেইউএ/আরআইএস