কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের প্রজ্ঞামিত্র বনবিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথোরর পেটিকাবদ্ধ ও স্মরণসভা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) প্রজ্ঞামিত্র বনবিহারের মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে, ১৯ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস করেন সারমিত্র মহাথোর। আজ সকালে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ওই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে। বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি একুশে পদকে ভূষিত ড. জ্ঞানশ্রী মহাথোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শতাধিক ভিক্ষুসংঘ উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার-রামুর সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল অনুষ্ঠানে বলেন, সারমিত্র মহাথোর শুধুমাত্র বৌদ্ধদের ধর্মীয় গুরু হিসেবে নয় সারা রামুর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের আত্মার আত্মীয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
এদিকে অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকুমল বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া, সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়াসহ অন্যান্যরা।
পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠানের তাৎপর্য নিয়ে অধ্যাপক ড. সুকুমল বড়ুয়া বলেন, একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু কোন সাধারণ মানুষ নয়। সারাজীবন সংসার ত্যাগ করে ধ্যান-সাধনায় জীবন পার করেন। ছয় মাস থেকে শুরু করে ছয় বছর পর্যন্ত একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে মমি করে রাখা হয়। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা। মূলত প্রাণহীন দেহের রূপ পরিবর্তনের সময়টা বোঝার জন্যই এই রীতিনীতি গৌতম বুদ্ধের সময় থেকেই চলে আসছে।
শিগগিরই সারমিত্র মহাথোরর অন্তেষ্টিক্রিয়া দিনক্ষণ জানানো হবে বলে তারা জানান।
প্রয়াত সারমিত্র ভিক্ষুর পেটিকাবদ্ধ ও স্মরণসভা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে নীতিশ বড়ুয়া ও শিপন বড়ুয়া বলেন, প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ আজকে ভিক্ষুকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।
সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সমাপ্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
এসবি/এএটি