ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৪০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
৪০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা

গাজীপুর: গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে গাইবান্ধা যেতে বাস ভাড়া ৪০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে সেই ৪০০ টাকার ভাড়া হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

এদিকে চন্দ্রা থেকে সিরাজগঞ্জের বাস ভাড়া ২৫০ টাকা। সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। মানে ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের এমন অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি যাওয়া যাত্রীদের।  

তেমনি এক যাত্রী রেহানা আক্তার (২৬)। তিনি চাকরি করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানায়। ঈদের ছুটি পেয়েছেন শুক্রবার (২৯ এপ্রিল)। আর শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে তিনি গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু চন্দ্রা এলাকায় গিয়ে থেমে গেলেন তিনি। তখনই কথা হয় তার সঙ্গে।  

জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিন দিন পর ঈদ। মানুষজন ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করবে। তাই মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। সেই সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে বাস হেলপাররা। আমি বাড়ি যেতাম ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে। ঈদ উপলক্ষে সেখানে বাস ভাড়া চাচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। কোনো কোনো বাসের হেলপার ১০০০ টাকাও চাচ্ছে। বাসের চালক ও হেলপার বলছে আসার সময় খালি গাড়ি নিয়ে আসতে হবে। এজন্য তারা ডাবল ভাড়া দাবি করছে।  

পোশাক কারখানার শ্রমিক তায়েব আলী জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকায় তার বাড়ি। তিনি জয়দেবপুরের তিন সড়ক এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চন্দ্রা থেকে তার বাড়ি যেতে বাস ভাড়া ২৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে ওই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এমনিতেই সবকিছুর দাম বেশি এরপর গাড়ি ভাড়াও ডাবল নেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি বাসের হেলপার একই রকম ভাড়া চাচ্ছে। কিছু করার নেই। ঈদ উপলক্ষে বাধ্য হয়ে যেতেই হচ্ছে।  

গাজীপুরের কোনাবাড়ী-বগুড়া রোডের বাসচালক রুহুল আমিন বলেন, যারা চাকরি করেন তারা ঈদের বোনাস পায়। আমাদের চালক-হেলপারদের কোনো বোনাস নেই। যত বেশি ইনকাম করতে পারবো তত বেশি পারসেন্টেন্স পাব। এছাড়া যাওয়ার সময় যাত্রী নিয়ে যেতে পারবো কিন্তু আসার সময় খালি গাড়ি নিয়ে ফিরতে হবে। এজন্যই ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে।  

গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে চন্দ্রা এলাকাসহ আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসন। আমরাও বিষয়টি দেখছি।  

এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি- ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এ বিষয়ে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন দেখবে। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আমাদের কাছে কেউ অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে অভিযোগ করলে আমরাও বিষয়টি দেখবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
আরএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।