ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ৫ এলাকায় ঈদ উদযাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, মে ২, ২০২২
লক্ষ্মীপুরে ৫ এলাকায়  ঈদ উদযাপন ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চারটি এবং রায়পুর উপজেলার একটি এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে।  

সৌদি আরবসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সোমবার (২ মে) রামগঞ্জ পৌরসভা এলাকা, কাঞ্চনপুর, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন এবং রায়পুরের বামনী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করে।

 

সকাল ৭টার দিকে রামগঞ্জ পৌরসভার জাহাঙ্গীর টাওয়ারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  

সকাল ৯টার দিকে পশ্চিম নোয়াগাঁও শেখবাড়ী, সাড়ে ৯টার দিকে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ববিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এবং ১০টার দিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব তালিমুল কুরআন নুরানী মাদরাসা প্রাঙ্গণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  

নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদের জামাতের খতিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হানাফি মাজহাব পালন করি। হানাফি মাজহাবের নিয়ম হলো- পৃথিবীর যে স্থানে প্রথম চাঁদ দেখা যাবে, পৃথিবীর সবস্থানে ঈদ পালন হবে।  

পৃথিবীর যদি পশ্চিম অংশে চাঁদ দেখা য়ায়, এ সংবাদ যদি পৃথিবীর পূর্ব অংশের মানুষের কাছে আসে। তাহলে তাদের জন্য ঈদ পালন করা ওয়াজিব হবে। আগে চাঁদ দেখার সংবাদটি আমাদের মধ্যে আসতো না। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমে আমরা চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাচ্ছি। তাই ঈদ পালন না করার কোনো যুক্তি নেই। আমরা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি।  

মাওলানা আমিরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যদি আঞ্চলিকভাবে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে থাকি, সেক্ষেত্রে আমাদের লাইলাতুল কদর, ঈদসহ পবিত্র যে দিনগুলো সেগুলো সঠিকভাবে পালন করা যায় না।  

তিনি বলেন, এখানে ৪৫-৪৬ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে। সোমবারের ঈদের জামাতে প্রায় দেড় শতাধিক লোক অংশ নিতে দেখা যায়।  

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিঘা জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৪০-৪৫ জন লোক এ জামাতে অংশ নেন।  

ওই মসজিদের বক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ বলেন, দেশে দেশে চাঁদ দেখার বিধান এখন আর নেই। পৃথিবীর যে দেশেই চাঁদ দেখা যায়। পৃথিবীর সবস্থানেই ঈদ পালন করা যায়। আজকে সারা পৃথিবীর মানুষ ঈদ পালন করেছে। তাই আমরাও পালন করেছি।  

পূর্ব বিঘা গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের গ্রামের ৭-৮ বাড়ির প্রায় ৫০ পরিবার আজ সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। আমরা সৌদী আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোযা রাখা শুরু করেছি। রোববার (১ মে) আমাদের ৩০ রোযা পূর্ণ হয়েছে। সোমবার সকালে আমরা এখন ঈদের নামাজ আদায় করেছি।  

তিনি বলেন, একই বাড়ির বা একই পরিবারের সবাই কিন্তু ঈদ পালন করছে না। যারা সারা পৃথিবীর সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে চায়, তারাই আজকে ঈদ পালন করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।