ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চার ঘণ্টার চেষ্টায় লাইটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১২ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
চার ঘণ্টার চেষ্টায় লাইটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোডে একটি লাইট তৈরির গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।  

বুধবার (৮ জুন) দিনগত গতরাত দেড়টার দিকে ফেরিঘাট রোডের তিনতলা একটি ভবনের নিচের ওই গোডাউনে এ আগুনের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে আগুনের ফুলকি দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আগুনের ভয়াবহতা মারাত্মক আকার ধারণ করলে ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল এসে কাজ শুরু করে। এরপর রাতের আগুন ৪ ঘণ্টা পর সকাল হলে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।  

নিচতলার গোডাউনে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ সরিয়ে নেয় প্রতিবেশীরা৷ এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে কাজ শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে তিনতলা ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের শিখা দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোডাউনের সাটার ভেঙে আগুনের ভয়াবহতা দেখতে পায়। এরপর শুরু হয় নিয়ন্ত্রণ কাজ। অন্তত ৪ ঘণ্টা চলে কার্যক্রম।  
 
ওই ভবন মালিক নাগিব মাহফুজ জানান, বাড়িটির নিচতলা গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া আছে। ওই গোডাউনে এলইডি বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা ও বৈদ্যুতিক তার রাখা হতো। ইলেকট্রিক পণ্যের কারণে আগুন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ায় আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি খুব বেশি হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স- এর সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, রাত ২টার পর খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি দল। টানা ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গোডাউনের প্রবেশ পথ ও জায়গা সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। এছাড়া গোডাউন ইলেকট্রিক জিনিসপত্র থাকার কারণে দ্রুতই আগুনের ব্যাপকতা ছড়ায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রাথমিক ধারনায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালপত্রল পুড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।