ঢাকা: রাজধানীতে হাতিরঝিল ও কদমতলী থেকে এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন আশিক এলাহী (৭৯) ও ফজিলাতুন্নেছা (৬৪)।
শুক্রবার (১০ জুন) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তারা জানায়, বৃহস্পতিবার )৯ জুন) দিবাগত রাতে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে খবর পেয়ে মালিবাগ বাগানবাড়ি এলাকার ৫০৩/৬ নম্বর বাগান টাওয়ারের ১০ তলা থেকে আশিক এলাহীর কিছুটা পচন ধরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিজ ফ্লাটের বিছানায় তার মরদেহ পড়েছিল।
তিনি জানান, বাড়ির ষষ্ঠ তলায় থাকেন তার মেয়ে, আর ওই ব্যক্তি থাকতেন দশম তলায়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, ধারণা করা হচ্ছে ৫-৭ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ কয়দিন পরিবারের কেউই তার রুমে গিয়ে খোঁজ-খবর নেয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গন্ধ পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, বাড়ি ফেনীর পরশুরাম উপজেলায়।
এদিকে একই দিন রাতে কদমতলীর মুরাদপুরে রজ্জব আলী সরদার রোডের ৮/এ নম্বর বাসা থেকে ফজিলাতুন্নেছা নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কীটনাশক পান বা ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এদিকে মৃতের ছোট ভাই মোশারফ হোসেন খোকন এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে বলেন, ফজিলতুন্নেসা পালিত মেয়ে ইফাকে নিয়ে নিজেদের বাড়িতেই থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকলেও তার তেমন চিকিৎসা করায়নি ইফা। তাদের ধারণা, পালিত মেয়ে ইফাই তাকে কীটনাশক বা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ দু’জনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ১০ জুন, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড