ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ডিমলায় নিষিদ্ধ জালে অবাধে মাছ শিকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
ডিমলায় নিষিদ্ধ জালে  অবাধে মাছ শিকার

নীলফামারী: নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বেড়েই চলেছে নীলফামারীর ডিমলায়। এসব জালে অবাধে ছোট মাছ ধরা হচ্ছে।

ফলে মাছের বংশ বিস্তারে প্রভাব ফেলছে। এতে করে দেশি মাছ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা এলাকাবাসীর।

উপজেলার সর্বত্র মাছের মরণ ফাঁদ চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার। কারেন্ট জালের থেকেও ভয়ংকর জাল চায়না দুয়ারি। লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি নতুন ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। শুধু দেশি জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্প ব্যয়ে এবং পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি।  

উপজেলা সদরের সব বাজারেই চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে।

ডিমলার নাউতারা কৃষক সালেহ হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেই এক ধরনের মাছ শিকারি চায়না দুয়ারি জাল নিয়ে নেমে পড়েন। তারা নদী-পুকুর, জলাশয় ও নিচু জমিতে এই জাল বসিয়ে মাছ ধরেন। এতে ছোট মাছের ক্ষতি হয়। তবুও এ কাজটি করে চলেছেন তারা।

এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আংগুরি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। আমাদের অভিযানও অব্যাহত আছে। কেউ নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরলে, কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।