ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালের হাইটেক পার্ক তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
বরিশালের হাইটেক পার্ক তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার

বরিশাল: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বরিশালের তরুণ প্রজন্মকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বরিশালের হাইটেক পার্কটি হচ্ছে এখানকার তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।

আমরা এতদিন ছিলাম শ্রম নির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ। আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর, তারুণ্য নির্ভর একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বাংলাদেশে ৯২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করে দিচ্ছেন।  

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় হাইটেক পার্ক বরিশালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশালে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সর্বাধুনিক সিনেপ্লেক্সও আমরা সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য নির্মাণ করবো। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী যার অনুমোদন দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, বরিশালের সুযোগ্য ও জনপ্রিয় মেয়র, আদর্শ জনপ্রতিনিধি সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে এবং সহযোগিতায় এখানে একটি চমৎকার জায়গা পেয়েছি। সাড়ে ৬ একর জায়গায় এ হাইটেক পার্ক নির্মাণের আগেই আমরা এখানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ করেছি। আশা করছি এ বছরের কোনো এক সময় প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন এবং এখানে কিন্তু প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মাল্টি ট্যালেন্ট সাততলা ভবনের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি আমরা। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৬ একর জায়গায় তরুণদের কর্মসংস্থান, তরুণদের বিনোদনের জন্য এ হাইটেক পার্কটি নির্মিত হচ্ছে। আর আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের ঋণ সহায়তা পেয়েছি। আমাদের সারাদেশে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করছি, যেখানে ভারত খুব সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে ১৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে, আর বাংলাদেশ সরকার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করছে।  

পলক বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে বরিশালের হাইটেক পার্কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। তখন প্রতিবছর এখানে ১ হাজার তরুণ-তরুণীকে সরাসরি প্রশিক্ষণ দেব এবং ৩ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবো। আমাদের বরিশালের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী হতে হবে না। তারা বরিশালের মাটিতে বসে ইউরোপ-আমেরিকাতে কাজ করবে। বাংলাদেশে প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এবং বরিশালকে একটি সিলিকন নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য হাইটেক পার্ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারণ্যের শক্তি ও মেধা প্রযুক্তির শক্তির সঙ্গে একত্রিত করে ২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আর বরিশালের তরুণ প্রজন্মের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য তাদের কর্মসংস্থানের ঠিকানা হবে হাইটেক পার্ক।  

এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমি এতদিন বরিশালবাসীকে যেটা বলেছি, সেটা শুরু হতে যাচ্ছে। হাইটেক পার্ক বরিশালবাসী তথা তরুণ প্রজন্মের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেটা বলে বুঝাতে পারবো না। আমাদের পায়রা বন্দর হয়েছে, আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, আমাদের স্বপ্নের নগর বরিশালকে আমার চোখ থেকে যেভাবে দেখছি, সেভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পরে দক্ষিণাঞ্চলে বরিশাল অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে। আমাদের এখানে পায়রা বন্দর হয়েছে, হিসেব কষলে শুধু বরিশাল নয় এ অঞ্চলে অর্থাৎ গোটা এশিয়ার হাবে পরিণত হতে পারে। একটি দেশের ডেভেলপমেন্টের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে বড় বিষয়। এরপর হচ্ছে ইনফরমেশন ইজ পাওয়ার। তো সেটাও হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।