ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে কেইসি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে কেইসি 

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে নিয়োগ পেলো কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (কেইসি)। ৫ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে মোটা ব্যয় হবে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকা।

বুধবার (২২ জুন)  বিকেলে ভ্যার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে একটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০৯ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৫ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকা।  

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’-এর টোল আদায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং এক্সপ্রেসওয়ের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনকে (কেইসি) ৫ বছর মেয়াদে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফলে এখন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক ব্যবহার করলে সকলকে টোল দিতে হবে।  

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুল হলো  সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট (তাপবিদ্যুৎ) কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-WD1 নির্মাণের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৬০১ টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে সরকার। প্রকল্পটির পূর্ত কাজ করবে যৌথ উদ্যোগে এম এম নির্মাতা ও প্রকৌশলী এবং র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী ২য় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতুসমূহ পুনর্বাসন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-PW-01 নির্মাণের ব্যয় কমিয়েছে সরকার। পূর্ত কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান জাপানের ওএসজেআই-এর ভেরিয়েশন বাবদ ৪৫০ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৭ টাকা ব্যয় হ্রাস করে ৫ হাজার ৫১৬ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকার সংশোধিত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৩৭ কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৪১৮ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হলো  জাপানের তিনটি ওসিজি, ওসি, কেইআই  অস্ট্রেলিয়ার এএমইসি এবং বিসিএল- এসিই- এসএআরএম স্ট্রেজি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
জিসিজি /এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।