ঢাকা: ভুটানের তরুণদের কারিগরি কর্মদক্ষতা উন্নয়নে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ফেয়ার গ্রুপ। ভুটান সরকারের পক্ষে ঢাকার ভুটান দূতাবাসের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ফেয়ার গ্রুপ তাদের জন্য স্মার্টফোন, কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্টস এবং অটোমোবাইল মেইনটেন্যান্স ও সার্ভিসিংয়ে দীর্ঘ এক মাসের বিশেষ ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির আায়োজন করে।
রোববার (২৬ জুন) ফেয়ার গ্রুপের বনানী অটোগ্রাফ অফিসে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এ ইন্টার্নশিপ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভুটানের আট তরুণ-তরুণীর হাতে ইন্টার্নশিপ সার্টিফিকেট তুলে দেন বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কোয়েন্তসিল ও ফেয়ার গ্রুপ চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব।
বাংলাদেশে কোরিয়া ওভারসিজ কো-অপারেশন এজেন্সি, কোইকা-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডো ইয়াং-আ, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডিক্যাব-এর সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একে এম মাঈনুদ্দিন এবং ফেয়ার গ্রুপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) হামিদ আর চৌধুরী, হেড অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড করপোরেট ফিল্যানথ্রপি হাসনাইন খুরশেদ, ফেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক খন্দকার হাফিজ আল আসাদ ও ফেয়ার টেকনোলজির হেড অব সার্ভিস বিজয় মুখার্জী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম রাষ্ট্র ভুটান। মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। দু’দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্কের উল্লেখ করে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কোয়েন্তসিল বলেন, ভুটানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকা অপরিসীম। ভুটানের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে ফেয়ার গ্রুপের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ফেয়ার গ্রুপ ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে ভুটানের তরুণদের হাতে-কলমে শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। তারা ভুটানে ফিরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অংশীদার কবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন।
ভুটানের মানবসম্পদ উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতার অঙ্গীকার করে ফেয়ার গ্রুপ চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, মানবসম্পদকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা না গেলে কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী। ভুটানের প্রশিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনে ফেয়ার গ্রুপ থেকে দক্ষ প্রশিক্ষক পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
টিআর/আরবি