ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জুন ২০২৪, ২২ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে: শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন

ঢাকা: সব যুদ্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামগ্রিকভাবে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) গণভবনে সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, তাঁরা দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সেদেশের জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে। যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে এটি ঘটেছে।

প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবিলায় দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা এবং এ অঞ্চলের জনগণের দারিদ্র্য দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

সাক্ষাৎকালে ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে তাঁর বৈঠকের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন।

জেনারেল মনোজ পাণ্ডে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর ছিল এবং এটি এমন এক ত্যাগের প্রতীক, যা নতুন প্রজন্মকে দেশকে ভালোবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।

দুই প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফর দুই বাহিনীর সম্পর্ক সুসংহত করতে ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান।

ভারতের বিজয় দিবস উদযাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যা ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘প্রয়াস’ এর প্রশংসা করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।