ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না: দুদক চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
বঙ্গবন্ধুকে শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না: দুদক চেয়ারম্যান

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তার আদর্শকে লালন করতে হবে, তার চারিত্রিক গুনাবলীকে ধারণ ও অনুসরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে স্মরণ করে, তার চারিত্রিক গুণাবলী, দর্শন,ও কার্যক্রমকে অনুকরণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।  

তিনি বলেন, দুদকের সবাইকে দুর্নীতি মুক্ত, শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার শপথ নিতে হবে।  

সোমবার (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সভাপতিত্ব বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দুদক কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা ও বিশ্বাস। কিন্তু বাঙালি সেই বিশ্বাস ও ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষা করতে পারেনি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে খাটো করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধুই। তার মর্যাদাকে কেউ খাটো করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমাদের আত্নসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা গড়ে  তুলতে ও দুদকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে জনগণের কাছে দুদকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সততা ও ঈমানদারীত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। দুদক চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর দর্শনের বিপরীতে কাজ না করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।

দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মা তখনই শান্তি পাবে যখন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হব। বঙ্গবন্ধু ৭৫ সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কথা বলেছেন আমরা আজও একই কথা বলছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মা কিভাবে শান্তি পাবে আমরা জানি না। পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যার পর খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে এটি হয়েছে। যদিও দেরিতে হলেও আমাদের সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে। এদেশে এ জঘন্য হত্যার বিচার হয়েছে এবং অপরাধীদের সাজা কার্যকর হয়েছে। দেরিতে হলেও ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে।  

দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন যার মধ্যে তিনি প্রায় ১৩ বছর জেলে ছিলেন। এ অল্প সময়ে যেভাবে তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা যদি আমরা মনে গ্রথিত করে তার দেখনো মত চলতে পারি এবং স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যার যার পর্যায় থেকে দেশের জন্য সঠিকভাবে কাজ করি তবে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ অর্জনে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
এসএমএকে/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।