ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জামাতাকে শিকলে বেঁধে মারধর, মরদেহ মিলল পুকুরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
জামাতাকে শিকলে বেঁধে মারধর, মরদেহ মিলল পুকুরে

কুমিল্লা: কুমিল্লার চান্দিনায় শ্বশুরবাড়িতে জামাতাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায় পাশের গ্রামের পুকুরে।

 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।  

সোমবার (১৭ অক্টোবর) চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আরমান হোসেন জনি (২৬) নামে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

নিহত আরমান হোসেন জনি পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় পিকআপভ্যান চালক।  

নিহতের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ৬ মাস আগে ছেলেকে চান্দিনা উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে বিয়ে দেই। শিল্পী বিবাহিতা ও এক সন্তানের জননী ছিল। বিয়ের পরও শিল্পী তার আগের স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ১০ দিন আগে আমার পুত্রবধূ তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ছেলেও শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ার পর তারা ছেলেকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। রাত প্রায় ১০টার দিকে ছেলের শ্বশুর ফোন করে কাবিনের টাকা ও অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। সকালে শুনি ছেলের মরদেহ কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুরে পাওয়া গেছে। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।

নিহত জনির স্ত্রী শিল্পী আক্তার জানান, জনি মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই আমাকে মারধর করতো। বাবার বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারধর করায় এলাকার লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। রাত ১টার দিকে সে (স্বামী) হাতের শিকল খুলে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুর ১২টায় আমরা থানায় জিডি করতে গেলে শুনতে পাই তার মরদেহ একটি পুকুরে পাওয়া গেছে।  

চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক রাকিব হাসান জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের নাক, কান ও চোখে প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখতে পাই। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য এসেছেন।
 
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফয়েজ ইকবাল মহোদয়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একটি টিমসহ চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।