ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঘরে অজ্ঞাত নারীর দ্বিখণ্ডিত লাশ, স্বামী-স্ত্রী পলাতক!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
ঘরে অজ্ঞাত নারীর দ্বিখণ্ডিত লাশ, স্বামী-স্ত্রী পলাতক!

খুলনা: খুলনায় অজ্ঞাত-পরিচয় এক নারীর দ্বি-খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই নারীর মরদেহ নগরীর ১ নং গোবরচাকা ক্রস রোডের তেঁতুলতলা রাজু খাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মৃত নারীর নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।  

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ উদ্ধার হওয়া ঘরের ভাড়াটিয়া আবু বক্কার মোল্লা কদমতলা স্টেশন রোড নিউ আল আকসা নামে একটি ট্রান্সপোর্টে কর্মরত ছিলেন। রোববার সকালে কর্মস্থলে না যাওয়ায় এবং তার ফোন বন্ধ থাকায় ট্রান্সপোর্ট থেকে তাকে খুঁজতে আসে কয়েকজন। ঘর তলাবদ্ধ থাকায় বাড়ির মালিক রাজুকে জানানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির মালিক স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে তিনি থানায় ফোন করে পুলিশ ডাকেন। এরপর পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে মস্তকবিহীন এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত নারীর মাথা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ও দেহটি খাটের ওপর ছিল।

সূত্রে আরও জানা গেছে, আবু বক্কারের স্ত্রী স্বপ্না বেগম স্থানীয় প্রিন্স হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রতিদিন রাত ৮টার দিকে তার কর্মস্থলে যান। শনিবার রাতেও একই সময়ে চলে যান। তবে রোববার সকালে তিনি বাসায় ফেরেননি। রাতে তিনিও স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।

বাড়ির মালিক রাজু জানান, মৃত ওই নারীকে কখনও তিনি এ বাড়িতে দেখেননি। তিনি আবু বক্কার মোল্লার স্ত্রী নন। হত্যাকাণ্ডটি গভীর রাতেই হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। আবু বক্কারের স্ত্রী প্রিন্স হাসপাতালে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু আজ তিনি আসেননি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমে ধারণা করেছিল এটি আবু বকরের স্ত্রীর হবে হয়তো। পরে যদিও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় বাড়ির মালিকের কথায়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সোনালী সেন জানান, আবু বক্কর একটি ট্রান্সপোট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। রোববার সকালে তিনি কর্মস্থলে না যাওয়ায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বাসায় আসেন। বাসার দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখার এক পার্যায়ে তারা জানালা দিয়ে বিছানার একটি বাক্স ও বিছানার আশপাশে রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পলিথিনের মোড়ানো একটি মাথা ও একটি কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় সেখান থেকে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা কেডিএ এভিনিউ'র ১১৩ হোল্ডিংয়ে রাজু খাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতো আবু বক্কর ও তার স্ত্রী।   স্বপ্না খাতুন বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ভাগা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের মেয়ে। একই গ্রামের জাকির মোল্লা ছেলে আবু বক্কার।  আবু বক্কারের দুই থেকে আড়াই বছর ধরে এ বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা,  নভেম্বর ৬, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।