নড়াইল: ইয়াবা উদ্ধারের নামে মিথ্যা গল্প তৈরি করে হুমায়ুন শেখ (২৮) নামে এক যুবককে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের কালিয়ার পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী হুমায়ুনের মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) থেকে তদন্ত শুরু হয়।
ওই দিনই হুমায়ুনের মা রোকেয়া বেগম এসআই শফিকুলের বিরুদ্ধে পুলিশের মহা-পরিদর্শকসহ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী হুমায়ুন শেখ উপজেলার পেড়লী গ্রামের মৃত মিজানুর শেখের ছেলে।
অভিযোগের বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পেড়লী গ্রামের মৃত সুলতান জোয়ারদারের ছেলে আলমাস জোয়ারদার একই গ্রামের মৃত জালাল জোয়ারদারের ছেলে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী খাজা জোয়ারদারকে ফাঁসানোর জন্য হুমায়ুনের কাছে ১০২টি ইায়াবা ট্যাবলেট দিয়ে খাজার বাড়িতে রেখে আসতে বলে। ঘটনাটি তিনি খাজাসহ স্থানীয়দের জানান এবং পরবর্তীতে পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শফিকুলকে জানালে তিনি ইয়াবাগুলো ফাঁড়িতে নিয়ে তার কাছে জমা দিতে বলেন। তার কথা মতো হুমায়ুন ইয়াবাগুলো নিয়ে গত ৬ আগষ্ট সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে পেড়লী পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আইসির কাছে জমা দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।
পরবর্তীতে এসআই শফিকুল আটক হুমায়ুনকে ওই রাতেই কালিয়া থানায় নিয়ে যান। প্রকৃত সত্য ঘটনাটিকে আড়াল করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৬ আগষ্ট রাত ১১টার দিকে পেড়লী গ্রাম্য রাস্তার মহসিনের মোড় নামক স্থান থেকে ইয়াবাসহ হুমায়ুনকে আটকের মিথ্যা গল্প তৈরি করেন। এ ঘটনায় এসআই শফিকুল নিজেই বাদি হয়ে হুমায়ুনকে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৩(৮)২২।
মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলার দায় থেকে ছেলের অব্যহতি চেয়ে ও অসাধু পলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে কালিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার প্রবন কুমার সরকার বৃহস্পতিবার বিকেলে রোকেয়া বেগমের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে অভিযোগের তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
রোকেয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, এই দিন বিকেলে তিনি তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে তার অভিযোগের বিষয়ে জবানবন্দিসহ প্রমানাদি উপস্থাপন করেছেন। তিনি মিথ্যা অভিযোগের দায় থেকে ছেলের অব্যহতি ও মিথ্যা গল্প তৈরিকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত এসআই শফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার প্রনব কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পূর্নাঙ্গ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
এফআর