বান্দরবান: ৬ষ্ঠ দফায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
গত ১০ অক্টোবর থেকে বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
প্রথমে ১৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়। পরে ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদম দুটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। এরপরে ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়ানো হয়। পরে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বান্দরবানের ৪ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। এরপর ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি এই ৩ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। সর্বশেষ আবার শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬ষ্ঠ দফায় আবারও রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, বান্দরবানের দুর্গম এলাকাগুলোতে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এসময় ওই সব স্থানে ভ্রমণে গিয়ে যাতে কোনো দেশি বিদেশি পর্যটক কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেজন্য আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এদিকে গত ১৮ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের ৩ উপজেলায় পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকেই বান্দরবান জেলা পর্যটকশুন্য হয়ে পড়েছে এবং বেকার সময় কাটাচ্ছে জেলার হোটেল-মোটেল ও পর্যটকবাহী যানবাহনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
আরএ