কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাথী আক্তার (১৮) নামের এক নারীর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাথীর শ্বশুর রফিকুল ইসলাম (৫৮) এবং শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে সাথীর মরদেহ রেখে যায় তার স্বামী আকাশ আহম্মেদ (২৮) এবং রফিকুল ইসলাম।
নিহত সাথী ভেড়ামারা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আকাশ আহম্মেদের স্ত্রী এবং দৌলতপুর উপজেলার হলুদবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেনের মেয়ে।
নিহত সাথীর বাবা শাহাদত হোসেন অভিযোগ করেন, ৬ মাস আগে সাথী এবং আকাশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাথীকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করতেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে আকাশ ফোন করে বলে সাথী গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। মরদেহ হাসপাতালে আছে। পরে ভেড়ামারা হাসপাতালে এসে জানতে পারি মরদেহ রেখে তার স্বামী-শ্বশুর পালিয়েছে। যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মৃত অবস্থায় সাথী আক্তার নামের এক নারীকে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। তারা মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। পরে আমরা পুলিশে খবর দিই।
ভেড়ামারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রতাপ কুমার রায় জানান, পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত সাথী আক্তারের শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এএটি