কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে বানিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে দার্জিলিং সাদকি জাতের মিষ্টি ও সুস্বাদু কমলার চাষ। জেলার সর্বত্রই চোখে পড়ে নানা বাগানে সারিবদ্ধভাবে লাগানো গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা সবুজ ও হলুদ রঙয়ের কমলা।
সমতল ভূমিতে আবাদ হওয়া এ জাতের কমলার চাহিদা বাজারে প্রচুর। ফলে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ভুটান বা ভারত থেকে আমদানি নির্ভরতাও কমেছে অনেকাংশে। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক কমলায় দেখছেন সম্ভাবনার স্বপ্ন।
ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের সুজনেরকুটি গ্রামটি ইতিমধ্যেই আবু বক্করের কমলার বাগানের বদৌলতে পরিচিতি পেয়েছে কমলার গ্রাম হিসাবে। আবু বক্কর বিগত ৪ বছর আগে যশোর জেলার মহেশ গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে কমলার বাগান ও নার্সারী দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাগান করা সিদ্ধান্ত নেন।
পরবর্তীতে তিনি ওই নার্সারী থেকে দার্জিলিং সাদকি জাতের ২১০টি চারা সংগ্রহ করে ৩০ শতক জমিতে রোপন করেন। বর্তমানে টিকে থাকা ১৩৫টি গাছে কমলার ব্যাপক ফলন হয়েছে।
বাগানের প্রতিটি গাছে শতাধিক হারে কমলা থোকায় থোকায় ঝুলে আছে। প্রত্যেকটি গাছ থেকে প্রায় আড়াই মণ ওজনের কমলা বাজারজাত করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করছেন বাগানি। আবু বক্কর বাংলানিউজকে জানান, বাজারে ভুটান ও ভারত থেকে আমদানি করা কমলার প্রাধান্য থাকলেও দেশের পাহাড়ি এলাকা এবং সমতল ভূমির কমলার চাহিদাও আছে। তার মতে, দেশেই কমলা চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন বাংলানিউজকে জানান, এই অঞ্চলের মাটি লেবু জাতীয় ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। এখন অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বানিজ্যিকভাবে কমলার চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘন্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
এফইএস/এসআইএ