ঢাকা: দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় একজন নৌ শ্রমিকের বেতন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে কার্গো বাল্কহেড নৌশ্রমিক ঐক্যজোট। দাবি না মানা হলে ২৭ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে কার্গো বাল্কহেড নৌশ্রমিক ঐক্যজোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব দাবির কথা জানান।
সদস্য সচিব মামুন ড্রাইভারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন এবি এম সফিউল আলম বুলু।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, আনিসুর রহমান মাষ্টার, শাহজাহান হাওলাদার, আব্দুল আলিম, আব্দুল লতিফ, জুয়েল রানা, শাহীন মোল্লা, ইকবাল হোসেন ও আলী আকবর।
লিখিত বক্তব্যে মো. বাশার মাস্টার বলেন, ২০১৬ সালে কার্গো বাল্কহেড এবং মিনি ট্যাংকার নৌ শ্রমিকদের বেতনের গেজেট তৈরি হয়। কিন্তু ছয় বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। পাশাপাশি বি.আই.ডাব্লিউ.টি, নৌ পুলিশ, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ঢালাও ভাবে কাগজ দেখার নামে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। না হলে ২৭ নভেম্বর থেকে আমরা কর্মবিরতির ডাক দেব।
নৌ শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো-
কার্গো বাল্কহেড নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের মাসিক সর্বনিম্ন বেতন বিশ হাজার টাকা এবং চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে দশ লাখ টাকা। একই সঙ্গে পরিচয়পত্র প্রদানসহ ‘ঘ’ পরিচ্ছেদ নামে নতুন একটি মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে।
বজ্রপাতে ও নদীতে পড়ে মৃত্যু রোধে সুকান হাউসের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সুকান সিস্টেম উন্নত করতে হবে।
ওভারলোড রোধে হেজের পরিমাপ ঠিক রেখে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে।
নদী চ্যানেল খনন করে নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বাড়াতে হবে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুরের ছোট ছোট যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে।
সমস্ত ইজারার তদারকির জন্য মালিক শ্রমিক ও বি.আই.ডাব্লিউ.টি.এ ও পুলিশ নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
শ্রমিক নির্যাতন, হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
ঢালাও ভাবে রাতে বালুবাহী বাল্কহেড চালানো বন্ধ না করে, নদীর ব্যস্ততম ঢাকা-নারায়নগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় একটা সুনির্দিষ্ট সময় বন্ধ রেখে স্বাভাবিক নৌ চলাচল ঠিক রাখতে হবে এবং অন্যান্য নদীতে রাতে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের ছোট ছোট নদী,খাল, বড় নদীর মোহনা, তথা বাংলাদেশের সমস্ত নৌ পথে নৌযান চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫, নভেম্বর ১৯, ২০২২
ইএসএস/এসআইএস