ঢাকা: পুরুষ নির্যাতিত হলে তার পাশে কেউ দাঁড়ায় না বলে মন্তব্য করেছেন ‘জাতীয় পুরুষ সংস্থা’র নেতারা। তারা আরো বলেন, বলা হয় নারী-পুরুষ সমান অধিকার।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণজমায়েতে এসব মন্তব্য করেন ওই সংগঠনটির নেতারা। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উপলক্ষে এ গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংগঠনটির নেতারা পুরুষ নির্যাতন বন্ধে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সংশোধন করে পুরুষ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় করা, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হওয়ার পর রাষ্ট্র থেকে ভুক্তভোগীকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সব পুরুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, নারী নির্যাতন আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা, মোহরানার নামে অতিরিক্ত মোহর ধার্য করা বন্ধ করা, স্বামীর অধীনে না থেকে খোরপোষ আদায় বন্ধ করা, জাতীয় পুরুষ কমিশন গঠন করা, পুরুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দেওয়া, পুরুষের প্রতি সব ধরনের বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা ও সব পুরুষ সংগঠনকে মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত করা।
গণজমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পুরুষ সংস্থার সভাপতি জসিম উদ্দিন রাজা বলেন, পুরুষরা সারাদিন বাইরে পরিশ্রম করে আয় রোজগার করে। পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণ করে। কিন্তু তাদের কথা কেউ ভাবে না। তারা নীরবে চোখের জল ফেলে।
তিনি আরো বলেন, নারীদের জন্য নারী নির্যাতন আইন আছে আছে। কিন্তু পুরুষদের জন্য এমন কোনো আইন নেই। নারী নির্যাতন আইনের মিথ্যা মামলায় অনেক সময় তদন্ত ছাড়াই পুরুষদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাঠানো হয় জেলে। তারপর নির্দোষ প্রমাণিত হলে ছাড়া পায়। কিন্তু ততদিনে তার জীবনের অনেকগুলো সময় চলে যায়। তাই আজকে আমরা নারী নির্যাতন আইন সংশোধনসহ পুরুষের অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি জানাচ্ছি।
জাতীয় পুরুষ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় গণজমায়েতে আরো বক্তব্য রাখেন লালবাগ যুব জাগরণ সংঘের সভাপতি মো. আজিম উদ্দিন, খাদ্য সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হোসেন মুরাদ, এসো জীবের কল্যাণের আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন, এডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এসসি/জেএইচ