ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

আমি আর আহত হবো না

নঈম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১২
আমি আর আহত হবো না

বিচারপতি সাত্তারের যুবমন্ত্রী ছিলেন আবুল কাশেম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন চোখের ডাক্তার এম এ মতিন।

একদিন পুলিশ হানা দেয় যুবমন্ত্রী কাশেমের বাড়িতে। আটক করে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইমদুকে। সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়। সারা দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়। উৎকণ্ঠিত হয়। এ খবরের আল্টিমেট পরিণতি ভালো ছিল না। কেউ বলল, সাজানো নাটক। কেউ দিলেন সাধুবাদ। বাস্তবে মন্ত্রী কাশেম সাধু ছিলেন না। যুবদল করার কারণে সব শ্রেণীর লোকের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তার। বিশেষ সংস্থার যোগসাজশে ডা. মতিন ছিলেন ওত পেতে। একদিন সুযোগও মিলল। মন্ত্রীর বাড়িতে ধরা খেলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইমদু। খেসারত হিসেবে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার। তারপরের ইতিহাস সবার জানা।

রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস কেলেঙ্কারির সঙ্গে কাশেম-ইমদু ঘটনার মিল নেই। দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। তারপরও ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর। একটি আরেকটিকে টেনে আনে। মন্ত্রী হওয়ার আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন কথায়-বার্তায়, চলনে-বলনে স্পষ্টবাদী। শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে একবার তিনি সালমান এফ রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, `শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার। ` আর মন্ত্রী হয়ে বললেন, `কোন অন্ধকারে কালো বিড়াল লুকিয়ে রয়েছে, আমি খুঁজে বের করতে চাই। দুর্নীতি-অনিয়মের কালো বিড়াল আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। শেষবেলার মন্ত্রী হিসেবে কতটুকু কী করতে পারব বলতে পারি না। তবে কালো বিড়ালটি খুঁজে বের করবই। ` কালো বিড়াল বের করলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিন্তু সেই বিড়াল তাকেই গিলে খেল।

আহারে রাজনৈতিক মন্ত্রীরা কেন এমন হন? তাদের কাছেই তো আমাদের যত প্রত্যাশা। রাজনীতিবিদরাই দেশটির উন্নতি করছেন। সমাজের পরিবর্তন আনছেন। আমাদের স্বাধীনতা রাজনীতিবিদদের অবদানেই। সেই রাজনীতিবিদরা কী দেখালেন? মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কী বলতেন? এখন কী বলছেন। তবে কি মন্ত্রী হয়ে তিনি অতীতের স্মৃতি ভুলে গেছেন অনেকটা উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের হারানো সুর সিনেমার মতো। আগের স্মৃতি শুধু জনগণের মনে আছে। সেন বাবুর মনে নেই। একজন রাজনৈতিক মন্ত্রীর এই পরিবর্তন কোনোভাবে কাম্য ছিল না। এপিএস কেলেঙ্কারি একদিনের সৃষ্টি নয়। এক মাস ধরে রেল মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেক গুজব-গুঞ্জন শুনি। উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বন্ধু একদিন কথায় কথায় বললেন, রেল মন্ত্রণালয়ে ফাইল চলে না। ফাইল আটকে রাখা হয়। মন্ত্রীর এপিসের সঙ্গে দেখা করার পর ছাড়া হয় ফাইল। মন্ত্রী সব জানেন। তার সঙ্গে লোকজন দেখা করলে তিনি বলেন, এপিএসের কাছে যেতে। শুধু মন্ত্রণালয়ে নয়, রেলওয়ের অভ্যন্তরেও নিয়োগবাণিজ্য ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে। টাকা তোলার হিড়িক ছিল জোনে জোনে। বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মন্ত্রীও। বিষয়টি এক কান থেকে আরেক কানে যেতে থাকে। কিন্তু তারপরও মন্ত্রীর টনক নড়েনি। আর টনক না নড়ার পরিণামই শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যার খেসারত ১২ মার্চ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বললেন, `আমি বিপদে পড়ে গেছি। তীর আমার দিকে। ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এতবড় বিপদে আর পড়িনি। ` বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কেন নিজের ঘাড়ে এমন মহাবিপদ ডেকে আনলেন।

বিপদে এখন শুধু রেলমন্ত্রী একা নন, বিপদে বর্তমান সরকারও। শুঁটকির হাটের বিড়াল খুঁজে পেয়ে সেন বাবু আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন। কারণ ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি মন্ত্রিত্বের কোনো সুযোগ পাননি। এবার সুযোগ পেয়েই অধিক কাজে লাগাতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন। ৭০ লাখ টাকা একজন মন্ত্রীর জন্য বড় কিছু নয়। রেল বিভাগে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হয়। কেনাকাটা হয় চীন, ভারত থেকে। অতীতের মন্ত্রীরা নজর দিতেন বড় দিকে। বর্তমান মন্ত্রী নজর দিলেন ছোট দিকে। আর ছোট নজর দিতে গিয়ে ডেকে এনেছেন শুধু বিপদ নয়, মহাবিপদ। আসলে আওয়ামী লীগ খেতে জানে না। সামান্য ডাল খেতে গিয়েই জামাকাপড় নষ্ট করে একাকার করে ফেলে। অতীতেও এমন দেখা গেছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও তাই করলেন। সবকিছু নষ্ট করে ফেললেন। চুরি সব আমলেই কম-বেশি হয়েছে। কিন্তু কোনো মন্ত্রী এত দুর্নাম কামাননি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে দুর্নাম কামিয়েছেন তার মূল কারণ অভিজ্ঞতার অভাব। আর কিছু নয়। তিনি তেল, নুন, পানি মিশিয়ে একাকার করে ফেলেছেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজে ডুবলেন, সঙ্গে ডোবালেন রাজনীতিবিদদের। এর খেসারত কম-বেশি সবাইকে দিতে হবে। সবচেয়ে বেশি দিতে হবে আওয়ামী লীগ নামের দলটির সারা দেশের নেতা-কর্মীদের। প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনা তাদের নীরবে হজম করতে হবে। সবাই বোঝেন মধ্যরাতে কেউ আত্দীয়ের টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে যায় না। দিলি্লকা লাড্ডু জোবি খায়া ওবি পস্তায়গা, জোবি নেহি খায়া ওবি পস্তায়গা। রেলমন্ত্রীও পস্তালেন। জর্জ ওয়াশিংটন বলেছেন, অসৎ সঙ্গর চেয়ে বরং একা থাকাই ভালো। শেখ হাসিনাকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি কি করবেন। বাস্তবতার নিরিখে সরকারকে তার অবস্থান ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোরভাবে এর মূল্য দিতে হবে।

অবশ্য এ সরকার কোনো কিছুই গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। সরকার মনে করে, তারা যা খুশি তা করবে, জনগণের পবিত্র দায়িত্ব ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান পর্যন্ত তাদের ক্ষমতায় রাখবে। এ কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। জানি না, সুরঞ্জিতের বিষয়টি কীভাবে সামাল দেবে। সারা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে এপিএস কেলেঙ্কারি। ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারির সঙ্গে এর মিল নেই। তবুও আলোচনা-সমালোচনা একই রকম। অতীতের সরকারগুলোর আমলেও আমরা অনেক দুর্নীতির খবর শুনেছি। ওয়ান-ইলেভেনের পর অনেক ভবনের কাহিনী শুনেছি, দেখেছি, পড়েছি। এরশাদের এক মন্ত্রীকে বলা হতো থিফ অব বাগদাদ। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এক রাজনৈতিক সচিবকে বলা হতো অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার। বিতর্ক আরও ছিল। কিন্তু অতীতকে ছাপিয়ে গেছে বর্তমানের কর্মকাণ্ড। রেল উঠে গেছে পিলখানায়। বিডিআর বিদ্রোহের পর পিলখানার সামনে দিয়ে অনেকে এমনিতে হেঁটে যেতে ভয় পেতেন। রেলমন্ত্রীর এপিএসের টাকার বস্তা কেলেঙ্কারি আরেকদফা পিলখানাকে আলোচনায় আনল। এ আলোচনার শেষ কোথায় জানি না।

শুধু রেল নয়, বিভিন্ন খাতে সরকার অহেতুক পদে পদে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। মন্ত্রী-এমপিরা দেশের অনেক এলাকায় নানামুখী বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তারপরও কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মন্ত্রিসভায় বিতর্কিতদের বহাল রাখা হয়। দায়িত্ববানদের কাজ না করলেও সমস্যা নেই। আরাম-আয়েশে সবার দিন কাটছে। কোথাও জবাবদিহিতা নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু যেন ভূতে চালাচ্ছে। জবাবদিহিতা ছাড়া চলছে একটি সরকার। সবকিছুতে নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করছে। আসলে অতীত থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আর নেয় না বলেই ব্যাংক, বীমা, টেলিভিশন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয় যাকে-তাকে। এখন কোনো কিছু গায়ে লাগছে না। কিন্তু যখন বুঝবেন তখন আর সময় থাকবে না।

ব্যাংক নিয়ে ভালোই তামাশা হলো। অনুমোদন পেয়েছে রাজনৈতিক অথবা দলীয় নয়টি ব্যাংক। সরকারের প্রভাবশালীরা ব্যাংক পেলেন। যারা পরিচালক হলেন তাদের প্রত্যেককে ৪০০ কোটি টাকা হোয়াইট দেখাতে হয়েছে। একটি ব্যাংকের জন্য দরকার হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। এ টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। কী করে তিন বছরে এত টাকা সাদা হলো। কী দরকার ছিল এত ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার। প্রবাসী আওয়ামী লীগারদের তিনটি না দিয়ে একটি দিলেই হতো। মাত্র ২০ জন লোককে পুনর্বাসিত করতে গিয়ে বদনামের ভাগিদার হলেন কোটিখানেক আওয়ামী লীগার। আসলে এবার সবকিছুতেই এমন হচ্ছে। গুটিকয় মানুষ ব্যাংক, বীমা, টেলিভিশন, শিল্প-কলকারখানার ভাগিদার হচ্ছেন। অন্যরা আঙ্গুল চুষে তামাশা দেখছেন। হতাশা এখন সরকারি দলেই বেশি। যারা পাচ্ছেন উজাড় করে নিচ্ছেন। সব সেক্টরই তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। রাজপথের নেতা-কর্মীরা শুধুই বঞ্চনার শিকার।

শুধু ব্যাংক নয়, অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৬টি টেলিভিশনের। যারা লাইসেন্স পেয়েছেন তারা আরামে শেয়ার বিক্রি করছেন। বলা যায়, আওয়ামী টিভিগুলোর বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। অনেকে ভালো দরদাম পেয়েছেন। অনেকে আবার জড়িয়েছেন মালিকানার বিরোধে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাজারে এত টিভির ছড়াছড়ি। কিন্তু আওয়ামী লীগের নিজের বলে কিছুই রইল না। আওয়ামী লীগ এমনই হতভাগা দল। গাধা নাকি পানি ঘোলা করে খায়। আওয়ামী লীগও তাই। ক্ষমতায় এসে ব্যবসা-বাণিজ্য নিচ্ছে। কিন্তু দেশ-দুনিয়াকে জানান দিয়ে এমনভাবে করছে, তাতে দলের ইমেজের কথা কেউ চিন্তা করছে না। আগামীদিনে ক্ষমতায় আসার চিন্তাও নেই। আমি অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক `বাবু`কে দেখেছি, যারা চিন্তা করছেন, প্রতিবেশীরা এসে জঙ্গিবাদ দমাতে তাদের আবার ক্ষমতায় বসাবে। ২০০১ সালের নির্বাচনের কথা তারা ভুলে গেছেন। প্রতিবেশীরা তখন কিন্তু বিএনপিকেই সমর্থন দিয়েছিল।

নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো কিছু স্থায়ী নয়। নানামুখী ক্রিয়াকর্মে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজতে আর বাকি নেই। এমন পরিস্থিতি দেখার জন্য ত্যাগী নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেননি। অনেক কষ্টে তারা সবকিছু হজম করছেন। তাদের অবস্থা অনেকটা কবি হেলাল হাফিজের মতো। হেলাল হাফিজ লিখেছেন_ "আমি আর আহত হবো না/ কোনোকিছুতেই আমি আর আহত হবো না। /যে নদী জলের ভারে হারাতো প্লাবনে/এখন শ্রাবণে সেই জলের নদীর বুকে/জলাভাবের হাহাকার দেখে আমি আহত হবো না। " মাত্র তিন বছর পার হতেই সরকারের সেই প্লাবন আর নেই। চারদিকে শুধুই হাহাকার। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দুঃখ-কষ্ট দেখছি। চাটুকারদের বাড়াবাড়ি দেখছি। জেগে ওঠার সম্ভাবনা আর দেখছি না। বড় কষ্ট লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয়, গণমানুষের এই দলটি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজেকে দেউলিয়া বানিয়ে আর ক্ষমতায় আসবে না।

পাদটীকা : প্রেম নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মনে নানামুখী প্রশ্ন সব সময় থাকে। স্বামী-স্ত্রীও বাদ যান না। একবার এক প্রেমিকা তার প্রেমিকের কাছে জানতে চায়, তাকে কতটা ভালোবাসে। জবাবে প্রেমিক জানায়, অনেক ভালোবাসে। সম্রাট শাহজাহান যেমন মমতাজমহলকে ভালোবাসত অনেকটা তেমন। প্রেমিকা মহাখুশি। আনন্দঘন মুহূর্তে প্রেমিকা এবার আবদার জানায়, আমার নামে একটি তাজমহল গড়ে দাও না। প্রেমিক বলে, অবশ্যই তোমার নামে তাজমহল বানাব। কোনো চিন্তা কর না। প্রেমিকা মহাখুশি। ফের আবদার, কবে বানাবে বল না গো। প্রেমিক আরও আন্তরিক। ডার্লিং, আমি তো জমি কিনেছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কীসের সময়? প্রেমিকা বিগলিত হয়ে জানতে চায়। প্রেমিকের সাদামাটা উত্তর। তোমার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি। তুমি মারা গেলেই আমি নির্মাণ করব স্বপ্নের তাজমহল।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর দশাও এখন এমন। মূল্যায়নের আশায় থাকা কর্মীদের কাছে নেতাদের অঙ্গীকার, অপেক্ষায় থাক। আগামীতে দল আবার নিশ্চিত ক্ষমতায় আসবে। এবার কিছু করতে পারিনি ভাই। আগামীতে তোমাদের মূল্যায়ন করব। যা চাইবে তাই দেব।

পুনশ্চ : যুক্তরাজ্যে গ্লুকোস্টারশায়ারের ডোভার হিলে বছরে একবার বাৎসরিক কিল-গুঁতা-লাথি প্রতিযোগিতা হয়। এ প্রতিযোগিতা দেখতে ব্যাপক ভিড় জমে। দর্শকরা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। অনেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আবার কেউ থাকেন দর্শক ভূমিকায়। আমাদের দেশেও এক ধরনের প্রতিযোগিতা হয় পাঁচ বছর পর। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে একদল আন্দোলন করে। আরেক দল তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে মারামারি, হানাহানি, লগিবৈঠা উৎসব হয়। এতে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ। আমার এক প্রবাসী বন্ধু প্রস্তাব দিলেন, প্রতি পাঁচ বছর কিল-গুঁতা-লাথি প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে কেমন হয়? যে দল জিতবে তারাই ক্ষমতায় বসবে। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Nayeem-Nizam

নঈম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।