ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

তোমাদের জন্য শুভ কামনা

রফিকুজ্জামান রুমান, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১২
তোমাদের জন্য শুভ কামনা

প্রাণঢালা অভিনন্দন, লাল গোলাপ শুভেচ্ছা, হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা সব কিছুই তোমাদের জন্য। শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপটি তোমরা অতিক্রম করতে পেরেছ অত্যন্ত সার্থকতার সঙ্গে।

তেমরা স্বপ্ন দেখেছিলে, দক্ষ কারিগর হয়ে সে স্বপ্নের সর্বাঙ্গীন সুন্দর কাঠামো তোমরা নির্মাণ করতে পেরেছ। মেধা তোমাদের মূল হাতিয়ার; অদম্য ইচ্ছা, কঠোর অধ্যবসায়, জয় করার সিদ্ধান্ত সে হাতিয়ারকে করেছে শাণিত। তোমরা পেরেছ কারণ তোমরা পারতে চেয়েছিলে। তোমাদের জন্য আরো একবার শুভ কামনা!

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের কৃতিত্বকে আমরা স্বীকার করে নিই। তোমাদের সাফল্যকে আমরা গৌরবের স্মারক বলে মনে করি। মনে করি বলেই মনে করিয়ে দিতে চাই- এই তোমাদের শুরু; শেষটা অনেক দূর। শুরুর সাফল্য তোমাদেরকে আনন্দিত করেছে, সন্দেহ নেই, কিন্তু সেই আনন্দের ঢেউ যেন শেষের উদ্দিষ্টকে প্লাবিত করে না ফেলে। শেষটা কোথায়? যেখানে দাঁড়িয়ে ক্ষুধামুক্ত আত্মনির্ভরশীল অপ্রতিরোধ্য এক বাংলাদেশ!

পরিসংখ্যানের দৃষ্টিকোণ থেকে এবার তোমাদের সাফল্য অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে তোমরা সত্যিই সৃজনশীল হয়ে উঠছ। ‘চির ভয়ের’ জায়গা ইংরেজি ও গণিতে পাসের হার বেড়েছে। সম্মিলিতভাবে এ বছর এসএসসি’র গড় পাসের হার ৮৬.৩৭ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৮৮.৪৭ শতাংশ। পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফল জিপিএ-৫ পেয়েছ ৮২ হাজার ২ শত ১২ জন। সার্বিক ফলাফলে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সবই খুশির খবর। তবে দুশ্চিন্তার বিষয়ও আছে। এবারের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারে নি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪টি। জিপিএ-৫ পেয়েও পছন্দ মতো কলেজে ভর্তি হতে পারবে না হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, পরিসংখ্যানের আলায় তোমরা উদ্ভাসিত। ২০০১ সালে গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর প্রথম বছরে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৬। সেটি আজ ২০১২ এ প্রায় ৮২ হাজার! পাসের হারও বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। এসব পরিসংখ্যান তোমাদের চেষ্টা, আন্তরিকতা আর অধ্যবসায়েরই স্বীকৃতি দেয়। মনে পড়ে চট্টগ্রামের রাব্বীর কথা। দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী এই কিশোরকে তো কোনো স্কুলই ভর্তি করতে রাজি হয় নি। অবশেষে দামপাড়া পুলিশ লাইন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল এই মেধাবী। ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে সে দেখিয়েছে-- মেধা চোখে থাকে না, থাকে মগজে।

ছেলে আসাদ আলী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাবা রিকশাচালক তোফাজ্জল হয়ত জানেনও না জিপিএ-৫ কী। ভাল ফলাফল করেছে শুনে সে আত্মহারা। কুড়িগ্রামের এই ছেলে দেখিয়েছে-- বাবার প্রতি ফোঁটা ঘামের মূল্য কীভাবে দিতে হয়। রাজশাহীর রোজিনা খাতুনকে অষ্টম শ্রেণীতে থাকতেই বাবা মা বিয়ে দিয়ে দিলেন। কারণ দারিদ্র্য। শ্বশুরবাড়ির যৌতুকের টাকা পুরোটা আদায় করতে ব্যার্থ হয় ভ্যানচালক বাবা। তালাকপ্রাপ্তা হয়ে রোজিনা ফিরে আসে নিজের বাড়ি। আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করে। এসএসসি’র ফরম ফিল আপ করার পুরো টাকাটাও বাবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয় নি। এই দারিদ্র্যকে জয় করেছে রোজিনা। দেখিয়েছে- জীবন সংগ্রামে কীভাবে জয়ী হতে হয়। ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। এমন আরো অনেককে খুঁজে পাওয়া যাবে যারা শুধু ফলাফল অর্জন করে নি; অর্জন করেছে জীবনকে জয় করার মহামূল্যবান দীক্ষাও। এবারের পরীক্ষায়ও নিশ্চয়ই এমন অনেকেই আছ।

তোমরা যারা এমন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পার, সেই তোমাদেরকে নিয়েই স্বপ্ন দেখা যায়। কিন্তু তোমরা কি জানো তোমাদেরকে নিয়ে আমাদের স্বপ্নটা কী? দু’টি স্বপ্ন। প্রথমটি তোমরা অনেক বড় হবে। দ্বিতীয়টি তোমাদের এই ‘বড়ত্ব’ দিয়ে বাংলাদেশকে বড় করে তুলবে। দেশকে নিয়ে স্বপ্ন না দেখলে, দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভাল না বাসলে আর যা-ই হও, বড় হতে পারবে না। আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৪১ বছর। আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু ‘মুক্তি’ পাই নি। তোমাদেরকে নিয়ে সেই মুক্তির স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।

একথাগুলো তোমাদেরকে বলছি, কারণ তোমরা যারা পাস করেছ এবং যারা পাস করতে পার নি, তোমাদের মধ্যেই হয়ত লুকিয়ে আছে আগামীর বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক। যে ছেলেটি বা মেয়েটি এ বছর পরীক্ষায় পাস করতে পারে নি, কে জানে, সে-ই হয়ত ২০৩৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে! তোমরা ব্রাজিলের নাম শুনেছ। বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বার জয়ী দেশ। পেলের দেশ। সেই ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পেরেছিলেন। তোমাদের মতো লুলার বয়স যখন ১৪, তখন সে রাস্তার মোড়ে বসে থাকত রং পলিস নিয়ে। করত মুচির কাজ!

এরপর জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত সয়ে সয়ে লুলা উদ্বুদ্ধ হলেন জীবনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে। হার মানেন নি। হলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। প্রথমবার ২০০২ সালে। ২০০৬ এ দ্বিতীয়বার। হলেন ‘’টাইম’’ সাময়িকীর বিবেচনায় ২০১০ সালের সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব! এই হলো থেমে না থাকার গল্প। মনে রাখবে- জীবনের কোনো ঘটনাই জীবনের চেয়ে বড় নয়। অনেকে ফেল করে আত্মহত্যা করে। ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহননের পথও বেছে নেয় কেউ কেউ। এগুলো পরাজয়। তোমরা দা সিলভার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পার কীভাবে জয়ী হতে হয়।

এই ফলাফলে তোমরা তোমাদের মেধার স্বীকৃতি পেয়েছ। অবশ্যই গর্বের বিষয়। তবে ফলাফলই কিন্তু শেষ কথা নয়। ফলাফল তোমাকে অনুপ্রাণিত করে। উৎসাহিত করে। তোমাকে একটি জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়। এরপর তোমার কাজই হয়ে ওঠে তোমার পরিচয়। ভাল শিক্ষার্থী হওয়া যত সহজ, ভাল মানুষ হওয়া তত সহজ নয়। তার জন্যে মনুষ্যত্ববোধ, নৈতিকতার অনুশীলন, অন্যের জন্য কাজ করা এবং দেশপ্রেম-- এসবকেই আঁকড়ে ধরতে হবে। দেশপ্রেম শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে নয়, থাকতে হবে চেতনায় ও কাজে। যেমনটা ছিল `Milkman of India` বলে পরিচিত ড. ভার্গেস কুরিয়েন এর। ড. ভার্গেস `An Unfinished Dream`  নামে একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমি দুধের ব্যবসায় নেমেছি একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে। ঐ ব্রিটিশ সমালোচক বলেছিলেন, ‘বোম্বের দুধের চেয়ে লন্ডনের নর্দমার পানিও অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যসম্মত’। এই সমালোচনাকে ভার্গেস চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জের ফল- আজকের ভারতের পৃথিবীতে দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম সারিতে অবস্থান।

অনমনীয় দেশপ্রেম আর উদ্দ্যেশ্য’র প্রতি অবিচলতাই এমন সাফল্য এনে দিতে পারে। মহাঋষী পতঞ্জলী বলেছিলেন, ‘ যখন মহৎ কোনো কিছু করার জন্য তুমি অনুপ্রাণিত হও, তখন তোমার চিন্তার সীমাবদ্ধতা ভেঙ্গে যায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমার সচেতনতা তীব্র হয়ে ওঠে এবং তুমি একটি নতুন চমৎকার জগৎ খুঁজে পাও। তোমার অন্তর্নিহিত শক্তি, উদ্যম আর বিচক্ষণতা নতুন করে জীবন্ত হয়ে ওঠে। এবং এসবের মধ্য দিয়ে তুমি এমন জায়গায় যেতে পার যা তুমি আগে হযত কল্পনাও করো নি’।

তোমরা ছোট নও। বিশ্বায়নের এই যুগে তোমরা কোনো কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন নও। নিজেদের জানতে হবে। সেই সাথে দেশকে এবং দেশের মানুষকেও। অমিত সম্ভাবনার আমাদের এই বাংলাদেশ। আজো পর্যন্ত সেই সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি নি। সম্পদ আমাদের পর্যাপ্ত হোক বা অপর্যাপ্ত, সেটি মূল সমস্যা নয়; মূল সমস্যা হল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার। এ দেশটিকে সত্যিকারের সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য আমাদের সম্মিলিত কোনো উদ্যোগ নেই। ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম তাঁর ‘Ignited Minds’  বইয়ে বলেছেন- Three factors are invariably found in a strong nation: a collective pride in its achievements, unity, and the ability for combined action’ এ তিনটির কোনটিই আমাদের নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতাকে আমরা সবার অর্জন মনে করতে পারছি না। আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধ না এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার কোনো কাজেও আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ বা প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় না।

পত্রিকার পাতায় যেদিন তোমাদের ফলাফল প্রকাশিত হল, সেদিনের একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পত্রিকার একদিকে ছিল তোমাদের হাসিমাখা মুখ, তোমাদের গৌরবের স্থিরচিত্র। অন্যদিকে ছিল আরেকটি ছবি। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি কলেজের হোস্টেল থেকে ১৫টি চাপাতি ও ২০ টি রামদাসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার। এগুলো ব্যবহৃত হতো প্রতিপক্ষের ছাত্রদের আক্রমণ করার জন্য। ছাত্রদের হাতে হকিস্টিক, রামদা। এরাও হয়ত তোমাদের মতো আমাদের মতো ভাল ফলাফল করে ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল। এদের হাতেও কলম ছিল। সেই কলম আজ পরিণত হয়েছে রামদা’য়। কেন? এর জবাব তোমাদের খুঁজে পেতেই হবে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সম্ভাবনাময় একটি দেশকে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। এবং শুধুমাত্র উদাহরণ সৃষ্টিকারী দেশপ্রেমিক কোনো নেতৃত্বই পারে অধিকাংশ ভাল মানুষের এ দেশটিকে সমৃদ্ধির বাংলাদেশে পরিণত করতে। সেই নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণে তোমদের দিকে তাকিয়ে পুরো বাংলাদেশ। মহাত্মা গান্ধীর নাম তোমরা জানো। ভারতের জাতির জনক। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হল। পরের দিনের পত্রিকায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রকাশিত হল ব্যানার হেডলাইনে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে সবাই উদযাপন করছে। যাঁর অবদানে এই ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম, তাঁর একটি খবর পাওয়া গেল পত্রিকার একই পাতার নিচের দিকে। সবাই যখন আনন্দে উদ্বেলিত, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী তখন নোয়াখালীতে। খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে তিনি সেবা করছেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আহত জনগণের! এই হল নেতৃত্ব।

এপিজে আবদুল কালামের একটি ঘটনা দিয়েই শেষ করছি। আহমেদাবাদের স্বামী মহারাজের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন জনাব কালাম। তিনি স্বামীজিকে বললেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল ভারতকে উন্নত ভারতে পরিণত করার জন্য পাঁচটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছি। এগুলো হল- শিক্ষা  ও স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ, অবকাঠামো, এবং প্রযুক্তি। এগুলোর মাধ্যমে আমরা কীভাবে সফল হতে পারি? আপনার পরামর্শ চাই’।

স্বামীজি বললেন, ‘এ পাঁচটি বিষয়ের সাথে আরো একটি বিষয় অপরিহার্য়। তা হল- স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস এবং মানুষের নৈতিকতার উন্নয়ন’।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, একথা অপরিহার্য সত্য যে, মেধার সাথে যদি নীতিবোধ না থাকে তাহলে সে-ই হয়ে ওঠে সবচেয়ে ভয়ংকর। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা মানুষ। মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে জ্ঞান। কিন্তু তাকে সত্যিকার অর্থেই ‘মানুষ’ করে তুলতে পারে নৈতিক মূল্যবোধ। একটি সুনির্দিষ্ট নৈতিক মূল্যবোধ আর তার যথার্থ অনুশীলন ছাড়া শুধু জ্ঞান ফলদায়ক নয়।

তোমাদের জন্য অন্তহীন শুভকামনা! তোমরাই নির্মাণ করবে আগামীর বাংলাদেশ!

রফিকুজ্জামান রুমান, প্রভাষক
কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা)

সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর,
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।