ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

ভাই আমারে বাঁচা....!

মাহবুব মিঠু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১২
ভাই আমারে বাঁচা....!

“Everybody is a book of blood; wherever we`re opened, we`re red.”
― Clive Barker, Books of Blood.

দিনটা ছিল অন্য দিনগুলোর মতোই। কোনো ব্যতিক্রম ছিল না যদি না ঘটনাটা ঘটত।

২০০৭ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক সকালবেলা। শীত কেবল আসি আসি করছে। শীতকালে এখানে বৃষ্টি হয়। সেদিনও বৃষ্টি পড়ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি। রমিজ কয়েক মাস আগে অভিবাসী হয়েছে। টেলিফোনের মতো জরুরি অনেক কিছুই তার ঘরে নেই। দেশে ফোন করতে রাস্তার পাবলিক টেলিফোনই একমাত্র ভরসা। ফোনটা কেবলই যাচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো শুনতে পাবে প্রিয় মায়ের কন্ঠ। তার আগেই দুর্ঘটনাটা ঘটে গেল।

যুবক বয়েসী সাদা চামড়ার এক মদ্যপ যুবক দৌড়ে এসেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিল ঘুসি মারতে থাকে। সাথে বর্ণবাদী খিস্তি খেউড়। নতুন দেশে, নতুন পরিবেশে প্রতিরোধের ভাষা তার জানা নেই। দৌড়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। হঠাৎ করেই সে ছিটকে পড়ে যায়। দেহের অর্ধেকটা ফুটপাতে এবং বাকীটা রাস্তার উপরে। অ্যাডিলেইডের অন্যতম একটা ব্যস্ত সড়ক। বিশেষত: কাজের দিনগুলোতে সকালে হাজার হাজার গাড়ি চলে। রমিজ স্পষ্ট টের পাচ্ছে, ঠিক পায়ের পাশ দিয়েই সাঁই সাঁই করে ঝাঁকে ঝাঁকে গাড়ি চলে যাচ্ছে। হাত-পায়ে প্রচন্ড ব্যথা। সে চেষ্টা করে উঠে দাঁড়াতে। কিন্তু পারছে না। হঠাৎ সন্তানের কচি মুখটা ভেসে উঠে। না, দাঁড়াতেই হবে। কিসের একটা শক্তি টের পায় দেহমনে। এখনো সে স্থায়ী বাসিন্দা হয়নি। একটা কিছু হয়ে গেলে সর্বনাশ! হেঁচকা টানে দাঁড়িয়ে যায়।

আপনজনহীন বিদেশ বিভুঁই। এই প্রথম টের পেল অসহায়ত্ব। পকেটে হাত দিতেই ওমা! মোবাইলটা নেই। এরই মধ্যে মধ্য বয়স্ক এক মহিলা এগিয়ে আসে সাহায্যের জন্য। বলল, ভয় নেই। আমি সব দেখেছি। রমিজকে সে পাশের দোকানে ধরে নিয়ে বসাল।
‘পুলিশকে ফোন দিয়েছি। চলে আসবে। ‘
ক্ষীণকন্ঠে রমিজ বলে, ‘মোবাইলটা পাচ্ছি না’।
‘দুর্বৃত্তটা নিয়ে গেছে। আমি দেখেছি’।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে। সেই মহিলা, পুলিশকে সব খুলে বলে। নিজে থেকেই স্বাক্ষী হয়। অভয় দেয় রমিজকে। বলে, তোমাকে কোর্টে যেতে হবে না। পয়সাও লাগবে না। তুমি ভিকটিম। সরকার সব ব্যবস্থা করবে। পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যেই আসামি ধরে রমিজের সামনে নিয়ে আসে। ওকে বলা হলো মাথা নীচু করে থাকতে। যাতে ভিকটিমকে চিনে ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নিতে না পারে। এরপরে সেই মহিলা রমিজকে তার গাড়িতে করে কাছের একটা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কর্মস্থলে ফোন করে ঘটনা জানাল। কারণ ক’দিন বোধহয় কাজে যাওয়া হবে না। অফিসের বড় কর্তা বাসায় এলো অভয় দিতে।

রমিজ আমাকে জানায়, ঘটনার ঠিক আগের রাতে ফোনে তার ভাইকে বলছিল, ‘এখানে চলে আয়। অনেক নিরাপদ। এই দ্যাখ এখন রাত ১২টা বাজে। আমি একা রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছি’। ঠিক পরের দিনের ঘটনাই তার সব বিশ্বাসকে এক নিমিষে গুঁড়িয়ে দিল।

সেদিনের পরে তাকে প্রায় দেড় বছর সাইকোলজিস্টের কাছে যেতে হয়েছিল ভয় কাটানোর জন্য। রাষ্ট্রই সব ব্যবস্থা করে। এখানকার সরকার তার যে কোনো নাগরিকের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে তার আওতার মধ্যে সব কিছুই করার চেষ্টা করে। কারণ সরকার মানে মালিক নয়, জনগণের সেবক। সেই সাইকোলজিস্ট একদিন কথা প্রসংগে জানতে চায় রমিজের দেশের অবস্থা কি রকম। রমিজ জবাব দেয়, সোজাসাপ্টা বললে এখানকার চেয়ে অনেক খারাপ। কিন্তু……..

সুন্দর একটা উদাহরণ দিয়েছিল রমিজ। যে নদীতে সব সময় কুমীর থাকে, সেখানে মানুষ সাবধানী হয়। কিন্তু যেখানে কুমীর মাঝে মাঝে আসে, সেখানে মানুষের অসাবধানতার সুযোগে ঘটে যেতে পারে বিপর্যয়। তাছাড়া, একজন ব্যক্তি একটা স্বপ্নের খোঁ কিংবা প্রতিকূলতা এড়াতে নিজভূমের সব কিছু, এমনকি প্র্রিয়জনদের ফেলে তোমাদের মতো দেশে আজীবনের জন্য চলে আসে। একটু জীবনের নিরপত্তা, কিছুটা নিশ্চয়তা পাবার জন্য। সেখানেও যদি একই ঘটনা ঘটে, তবে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা বড় ভয়ংকর।
 
আরেকটা মারাত্মক মনস্তাত্ত্বিক বিষয় জড়িয়ে আছে। রমিজের দেশে মানুষ সন্ত্রাসের শিকার হয় সাধারণত: ভিন্ন কারণে। বর্ণের ভিত্তিতে আত্মপরিচয়ের জন্য নয়। কিন্তু এখানে ‘ব্ল্যাক ডগ’ বা এই ধরনের হীন শব্দের দ্বারা আঘাত একজন মানুষকে নতজানু করে ফেলে। অন্তর্গত মর্যাদাবোধকে ধূলায় মিশিয়ে দেয়।

অনেকেই বলে,অস্ট্রেলিয়াতে ইউরোপের চেয়ে রেসিজমটা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কারণ ইউরোপের সাদারা সেখানকার নেটিভ। কিন্তু এখানে সাদারাও অন্য এশিয়ানদের মতোই বহিরাগত। মূলত: ইংল্যান্ড থেকে আসা। তাছাড়া, নিউজিল্যান্ড বাদে আশেপাশে হলিডেতে ঘুরতে যাওয়া মানেই হলো, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর কিংবা ফিজি। ইউরোপে ঘুরতে যাবার ভাগ্য সবার হয় না। কেউ কেউ বলে, কিছুটা অনুশোচনাও হয়তো কাজ করে। ব্রিটীশ সেটেলাররা যখন প্রথম আসে, তারপর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ওদের হাতে অনেক আদিবাসী মারা পড়ে, নিগৃহীত হয় তার চেয়েও বেশি। সেই অনুশোচনা থেকেই হয়তো সহনশীলতা বেড়েছে।

সংজ্ঞামতে, রেসিজম হলো, এক ধরনের বিশ্বাস যা কিনা যুক্তি ছাড়া এক প্রকার ধারণা সৃষ্টি করে যে, নির্দিষ্ট কোনো নরগোষ্ঠী অন্য আরেকটি নরগোষ্ঠীর তুলনায় মর্যাদায় বা অন্য কোনো উপায়ে উঁচু বা নীচু। সংক্ষেপে এটা এক ধরনের মনোভাব যা কিনা বৈষম্যপূর্ণ ব্যবহার সৃষ্টি করে এক নরগোষ্ঠীর সংগে অন্য নরগোষ্ঠীর।

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এখানকার ৮৭% মানুষ মনে করে অস্ট্রেলিয়াতে রেসিজম আছে। ৪২% মনে করে এখানে যারা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত তারা বেশি সুযোগ ভোগ করে থাকে। ২৬% অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীবিরোধী মনোভাব পোষন করে। ৪২% মনে করে, বিভিন্ন এথনিক লোকদের আগমনের ফলে অস্ট্রেলিয়া দুর্বল হয়ে পড়ছে। ১১% মনে করে না যে পৃথিবীর সকল মানুষ আসলেই সমান মর্যাদার। তবে আশার কথা হলো, ৮৬% অস্ট্রেলিয়ান মনে করে যে, রেসিজম বন্ধে কিছু একটা করা দরকার।

রেসিজম প্রত্যয়টি প্রত্যাহার করে আমরা যদি এর ফলাফল বা প্রভাব অর্থাৎ বৈষম্যের কথা ভাবি তাহলে সেটার অস্তিত্ব নেই এমন কোনো দেশ খুজেঁ পাওয়া যাবে না। এমনকি গৃহের মধ্যেও বৈষম্য। আমাদের দেশটা নরগোষ্ঠীর উৎপত্তিগত দিক দিয়ে মোটামুটি একই গোত্রের বিধায় রেসিয়াল বৈষম্যটা তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। কিন্তু তার বদলে অন্যান্য কারণে বিভাজনটা পুরোমাত্রায় বিদ্যমান। রেসিজমের দিক থেকে দেখলেও পাহাড়িদের সংগে আমাদের দৃষ্টিভংগীটা মেলালে বোঝা যাবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মনোভাব কি প্রকার। তাছাড়া, ধনীর সংগে গরীবের বৈষম্য, শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, ব্যবহারগত দিক দিয়েও, কিংবা খেটে খাওয়া লোকদের সংগে আমাদের ব্যবহার মিলিয়ে দেখলেই টের পাওয়া যায় মনস্তাত্ত্বিক গঠনে আমাদের ভিতরগত উৎকট বৈষম্যপূর্ণ চেহারাটা। যদিও সংজ্ঞাগত দিক দিয়ে এগুলো রেসিজমের মধ্যে পড়ে না। তবে উভয়ের আউটকাম একই। অর্থাৎ শ্রেষ্ঠতা প্রমাণের চেষ্টা। অন্যকে পরিচয়ের (ধর্ম, অর্থনীতি, সামাজিক শিক্ষাগত অবস্থান এবং অন্যান্য) সূত্রে খাটো করে দেখা। কিংবা যে কোনো প্রকারে বৈষম্য সৃষ্টি করা।

প্রতিকারের বেলায় আমাদের দেশের সংগে রেসিজমের ব্যাপকতা সম্পন্ন দেশগুলোর পার্থক্য আকাশ জমিন। এখানে কোনোভাবে আইনের আওতায় আনতে পারলে বিচার পাবার সম্ভাবনা থাকে। ব্যক্তি পর্যায়ে রেসিজমকে রাষ্ট্র সাধারণত: প্রশ্রয় দেয় না। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠতা রক্ষা, সেটা আবার ভিন্ন বিষয়। পরে আলোচনা করা যাবে।

পক্ষান্তরে, আমাদের দেশে ন্যায়বিচার কয়জনের ভাগ্যে জোটে? শক্তিশালীর কাছে শক্তিহীন কিংবা টাকাওয়ালার কাছে গরীবের পরাজয়ের ঘটনা তো নিত্য নৈমত্তিক। কেউ ভয়ে স্বাক্ষী দিতেও যায় না। মার খেয়েও মামলা করতে চায় না। ভোগান্তি আর টাকার অপচয়ের জন্য। মার খেয়ে মার হজম করাই হচ্ছে দুর্বলের টিকে থাকার একমাত্র কৌশল।

ফিরে আসি রমিজ প্রসংগে। রমিজকে যে আঘাত করেছিল সেই অপরাধীর জেল হয়েছিল। রমিজকে একদিনও কোর্টে হাজিরা দিতে হয়নি। পুলিশ বাসায় এসে স্বাক্ষ্য নিয়ে গেছে। উকিলের খরচও টানতে হয়নি। বরং কোর্টের রায়ে অপরাধীর জেলসহ বাংলাদেশি টাকায় বেশ মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হয়েছিল। সমস্ত চিকিৎসার খরচ, মোবাইলের দাম, যে কয়দিন কাজে অনুপস্থিত ছিল তার মজুরিসহ মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতিপূরণের জন্য রমিজকে এই টাকাগুলো ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হয়।

তারও বেশ কিছুদিন পরে রমিজ জানতে পারে, তার ছোট ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কি কারণে সেটা ভিন্ন বিষয়। বাংলাদেশে কাদেরের মতো ঘটনা সংখ্যায় কম না। সেটার বর্ণনায় গেলে আরেকটা দীর্ঘ লেখা হয়ে যাবে। রিমান্ডের হাত থেকে বাঁচাতে অনেক টাকার দাবী করে বসে। সময় মতো টাকা দিতে না পারায় পরিবারের অন্য সদস্যরাও হয়রানির মুখে পড়েছিল। তাদেরকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। পুরো পরিবার অন্যায় না করেও প্রায় এক মাস পালিয়েছিল। রাষ্ট্রেরই একটা প্রতিষ্ঠান যাদের কিনা জনমনে স্বস্তি নিশ্চিত করা দায়িত্ব, তারাই পুরো পরিবারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।

শেষমেষ টাকার অভাবে রিমান্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি। সাত দিন রিমান্ডের প্রতিটা রাত রমিজ ঘুমাতে পারেনি। বালিশে মাথা রাখলেই শুনতে পেত ছোট ভাই যেন চিৎকার করে বলছে, ‘ভাই আমারে বাঁচা’। বাংলাদেশে অপরাধ করে জেল থেকে ছাড়া পেলে কদর বাড়ে। কিন্তু অপরাধ না করে একবার পুলিশের সংগে সাক্ষাৎ হয়ে গেলে সবখানে ছি: ছি: পড়ে যায়। অপরাধীর শক্তি থাকে। তাকে জপে বিপদমুক্ত থাকা যায় কিংবা শত্রুকে তাকে দিয়ে বিপদে ফেলানো যায়। যার অপরাধ প্রমাণ হয়নি, তাকে কিসের ধার ধারা! বরং এই সুযোগে তাকে নীচে নামিয়ে নিজেকে উপরে ভাবা গেল। অদ্ভুত এক মানসিকতা! অন্যকে ছোট করে পার্থিব কোন লাভ না থাকলেও অসুরের সুখ! তাতেই শান্তি!

ঠিক একই কারণে রমিজের ছোট ভাইর চাকরি চলে যায়। কারণ দোষ না করলেও সে ‘পুলিশ-ফেরত’। এখনো সে বেকার। রমিজের মনে পড়ে, সে যখন অন্যের দেশে বিপদে পড়েছিল তখন সবাই এগিয়ে এসেছিল সাহায্যের জন্য। অথচ নিজ দেশে থেকেও আরেক ভাই কতো অসহায়! মানুষ নাকি ঠেকে শেখে। এই প্রথম রমিজ টের পেল ব্যক্তির জীবনে রাষ্ট্রের ভূমিকা কতো বড়!

রেসিজমের শিকার রমিজেরএকটা সময় তীব্র ক্ষোভ ছিল এই দেশটার প্রতি। ভাইয়ের ঘটনা তাকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়। সে তো অন্যায়ের প্রতিকার পেয়েছে। কিন্তু রিমান্ডের নামে তার ছোট ভাই যে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হলো তার বিচার কে করবে! তার চাকরি ফিরিয়ে দেবে কে?

রমিজ শুনেছিল, নির্যাতনের সময় তার ভাইয়ের চশমাটা ভেঙ্গে যায়। এখনো রমিজ মাঝে মাঝে আঁৎকে ওঠে। কল্পনায় দৃশ্যটা ভাবার চেষ্টা করে। পুরু গ্লাসের চশমা ছাড়া ওর ভাই কিছুই দেখতে পায় না। ভাইটা কি চশমার খোঁজে হাতড়ে বেড়িয়েছিল? চশমাটা কোথায়? মেঝেটা ভেজা কেন?
রক্ত!

রমিজ কি আবার ডাকবে তার ভাইকে?
‘ভাই, তুই এখানে চলে আয়’।

বি:দ্র: বাস্তব ঘটনাভিত্তিক বর্ণনা। সঙ্গতকারণেই ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
[email protected]

সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর  
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।