আমরা সবাই স্বীকার করি যে বাংলাদেশ ৫২ বছরে নানা রকম বাধা-বিপত্তি, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মোটামুটি একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নটা, বিশেষ করে প্রবৃদ্ধি, গ্রোথ, সেটাই বেশি প্রতীয়মান এখন।
এটা এমন নয় যে এক বা দুই দশকের মধ্যে এগুলো অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। গত পাঁচ দশকে কখনো কম অর্জন, কখনো বেশি অর্জন—এভাবে আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জটা হলো আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমরা স্থায়ী, টেকসই উন্নয়নের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছি, এখনো সেটা কিন্তু বলা যাবে না।
আমাদের যে লক্ষ্যগুলো সামনে আছে, তার একটা হলো উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া, আরেকটা হলো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়া।
এখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে নানা রকম সমস্যা এসে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তার পরও আমরা পাঁচ দশক বা অর্ধশতাব্দী পার করে এসেছি। রাজনৈতিক একটা অবস্থা দেশে বিরাজ করছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামনে যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো আরো বিচক্ষণতার সঙ্গে, শক্তভাবে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। তার মানে এই নয়, সামনে যে নির্বাচন আছে, তার আগে সব কিছু করা যাবে। অথবা নির্বাচনের পর যে সরকার আসুক না কেন, তারা দ্রুত সব করে ফেলবে, সেটাও নয়। এখন থেকেই যদি আমাদের প্রস্তুতি না থাকে, তাহলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে না। প্রস্তুতি মানে মানসিক প্রস্তুতি এবং আমরা যে ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছি, সেটা থেকে বেরিয়ে আসার কার্যাবলি ঠিক করার মাধ্যমে।
বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানমনে রাখা ভালো, যেকোনো দেশেই রাজনীতি বা রাজনৈতিক যে নেতৃত্ব থাকে, তারা কিন্তু শুধু মূল ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক উন্নয়ন—কোনোটাই কিন্তু সুষ্ঠু এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ না থাকলে হয় না। আমরা বিশেষ করে গণতন্ত্র বলি বা গণতন্ত্রের একেবারে খাঁটি-নিখাদ রূপ না হয়ে যদি মিশ্র গণতন্ত্র বলি, সেটাও কিন্তু রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। এটাই এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে অর্জনটুকু আমরা করেছি, সেটাকে ধরে রাখতে গেলে চ্যালেঞ্জ আছে, সমস্যা আছে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা এখন প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সঙ্গে বাইরের সমস্যাগুলো তো আছেই। যেমন—কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এগুলো কিন্তু আমাদের ভেতরের সমস্যাগুলোকে আরো জটিল করে ফেলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমার বড় একটা প্রশ্ন, আমরা কি এই কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নির্বাচনের পরে সেই কঠিন পরীক্ষাটা উত্তীর্ণ হয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব কি না এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের বর্তমান অবস্থাটা বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে আমরা কী অবস্থায় আছি। আমাদের দুর্বলতাগুলো কী
প্রথমত, আমরা জানি যে আমাদের সমস্যা অনেক। মূল্যস্ফীতি, টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া, ফরেন রিজার্ভ কমে যাওয়া, ব্যাংকিং, আর্থিক খাতে নানা রকম সমস্যা, হুন্ডি, মুদ্রা পাচার, দুর্নীতি—এগুলো তো আছেই। তারপর এখন আমাদের মূল সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয়ের সংস্থানও সংকুচিত হয়ে আসছে। তারপর সবচেয়ে বড় একটা ব্যাপার আমরা লক্ষ করছি, দিন দিন কিন্তু আর্থিক বৈষম্য বেড়েই চলছে। আর্থিক বৈষম্য মানে আয়ের বৈষম্য ও সম্পদের বৈষম্য। এই যে আর্থিক বৈষম্য ও সম্পদের বৈষম্য সাধারণ মানুষের বা যেকোনো মানুষের জীবনের ওপর সামাজিক প্রভাব ফেলছে। নেতিবাচক প্রভাবই কিন্তু ফেলছে। কারণ আয়ের সংস্থান যদি না থাকে এবং আয়ের বৈষম্য থাকে, তাহলে যতই সার্বিকভাবে সামষ্টিক উন্নতি হোক, বিষয়টার ফল কিন্তু সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারে না। পারছে না। এটা এখন বাংলাদেশের বাস্তবিক অবস্থা।
এখন জানতে হবে এর কারণ কী পাঁচটা কারণ বলতে পারি। একটা হলো আমাদের নীতির দুর্বলতা। যথাসময়ে যথাযথ নীতি প্রণয়নে আমাদের দুর্বলতা আছে। নানা রকম দুর্নীতি আছে। আমাদের নীতির যে দুর্বলতা, সেটার একটা ফল হলো আমাদের এই অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা।
দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিন্তু অর্থনৈতিক বিবেচনায় চলবে। যেমন—ব্যাংক চলবে আর্থিক নিয়মের মধ্যে। সেগুলো ঠিক হয়ে ওঠে না। কারণ এখানে নানা রকম রাজনৈতিক প্রভাব ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব। আবার আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি না।
তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠান। যেমন—ব্যাংক একটা প্রতিষ্ঠান। বাজার একটা প্রতিষ্ঠান। তারপর পুঁজিবাজার একটা প্রতিষ্ঠান। এ রকম সরকারি ক্ষেত্রে হোক, বেসরকারি ক্ষেত্রে হোক—প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দুর্বল। তাদের দক্ষতা কম। সেখানে দুর্নীতি, নানা রকম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা চলছে।
চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা; যেমন—বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিটিআরসি—এই যে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো আছে, মনে হয় না তারা খুব দক্ষভাবে, শক্ত অবস্থা নিয়ে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। এখানে কিন্তু নানা রকম প্রভাব আছে। এবং এখানে যেসব কর্মকর্তা আছেন, তাঁরা কিন্তু রাজনীতি ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবমুক্ত নন।
সব শেষে আমরা দেখতে পারি, সব জায়গায় সুশাসন অর্থাৎ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। এটা সরকারি ক্ষেত্রে হোক—সরকারি নানা রকম কর্মকাণ্ড, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বলি, প্রশাসন বলি এবং সরকারি অন্যান্য ব্যাপারে বলি, সেখানে কিন্তু স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির যথেষ্ট অভাব আছে। অপরদিকে প্রাইভেট সেক্টরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিন্তু খুব ভালোভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি করছে না। সেটার প্রতিফলন আমরা দেখি, যখন আমাদের বাজার অনিয়ন্ত্রিত। মূল্যস্ফীতি ঘটছে। লোকজনের আয়ের সংস্থান কমে যাচ্ছে দিন দিন। লোকজনের যে নানা রকম সমস্যা, সেগুলোর কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। এমন নয় যে সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ কেউ জানে না। এখানে সদিচ্ছা, সচেতনতা ও সততার অভাব রয়েছে।
সম্প্রতি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নীতিনির্ধারকরা কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কথাবার্তাই সর্বস্ব, কাজে তেমন নেই। অনেক সময় বলা হচ্ছে, মানুষ কেন সচেতন হয় না। তবেই ডেঙ্গু কমবে। মানুষ সচেতন হবে, মানুষকে সচেতন করার জন্য তো সহায়ক জিনিস লাগবে। সরকার কিসের জন্য আছে তারা বলে, ‘মানুষ সচেতন হোন, সব ঠিক হয়ে যাবে। ’ এগুলো অনেকটা ছেলে-ভোলানো কথাবার্তার মতো। এটা কিন্তু অভূতপূর্ব ব্যাপার—বাংলাদেশে কিন্তু এর আগে এ রকম ঘটনা খুব দেখেছি। পাঁচটা কারণ আগে উল্লেখ করা হলো, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের।
শ্রীলঙ্কায় বড় একটা রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা আমরা দেখেছি। দেশটা অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যায়। তারা ঋণ শোধ করতে পারছিল না। মূল্যস্ফীতি ৬০ শতাংশ হয়ে যায়। কর্মসংস্থান ছিল না। এক-দেড় বছরের মধ্যে তারা ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেক কমে গেছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। ট্যুরিজম আবার আগের মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে—আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। সব সমস্যা একবারে সমাধান হয়ে যায়নি। তবে অনেক ইতিবাচক ধারায় এসেছে। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি। শ্রীলঙ্কার একটা স্ট্রং পয়েন্ট হলো, প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শক্তিশালী এবং লোকজনও কিন্তু সচেতন। অন্যান্য দেশের তুলনায় শিক্ষিতের হারও অনেক বেশি। তাদের মানবসম্পদকে ব্যবহার করে, প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার করে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আর্থিক খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে করণীয় কাজগুলো, সেখানে কিন্তু কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি। কোনো রকম রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে পড়েনি। তারা ঋণের সুদের হার বাড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে কন্ট্রোল করেছে। ব্যাংকগুলোকে ঠিকমতো পুঁজি গঠন করার জন্য যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পরিপালন করা হয়েছে। এ জন্যই তারা সামনের দিকে এগিয়ে গেছে।
অপরদিকে আমরা যদি তুলনা করি, আমাদের কিন্তু যথেষ্ট ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠান বলি, মানবসম্পদের ব্যাপারে বলি, এখানে কিছুটা পার্থক্য রয়ে গেছে। বলব না যে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশ এখনো ভালো অবস্থানে আছে। শ্রীলঙ্কাকে অনুকরণ করতে বলছি না। তবে তাদের থেকে আমরা শিক্ষণীয় জিনিস গ্রহণ করতে পারি। তারা কীভাবে কঠিন সময়গুলো পার করে ভালো অবস্থানে নিজেদের নিয়ে গেছে, সেটা গ্রহণ করতে পারি। এমন নয় যে বাংলাদেশে এটা আমরা জানি না। আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম এই জন্য যে আমাদের কী করা প্রয়োজন, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বেশি করে জানতে হবে।
প্রথমত, আমাদের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতি, সরকারি সম্পদের অপচয়, অর্থের অপচয় রোধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিয়ম-নীতি যেগুলো আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম হোক বা অন্যান্য সংস্থার নিয়ম হোক, সেগুলো খুব যত্নের সঙ্গে পরিপালন করতে হবে। চতুর্থত, আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা—সুদের হার এখনো বাজারমুখী করা হয়নি। এক্সচেঞ্জ রেট, যেটা আমাদের টাকার মূল্যমান এখনো আমরা ভালো করতে পারিনি। বিভিন্ন অ্যাকশন নেওয়ার পরও আমরা খুব উন্নতির চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি না।
তারপর আরেকটা ব্যাপার হলো, ব্যাংকিং সেক্টরেও রিফর্ম করা দরকার। খেলাপি ঋণ রোধ করতে হবে। তারপর আমাদের প্রাইভেট সেক্টর, বিশেষ করে বড় বড় শিল্প দরকার আছে, কিন্তু আমাদের ছোট-মাঝারি কুটির শিল্প—এগুলোকে আরো উৎসাহ দান করা। যতই আমরা মুখে কথা বলি, এসএমই সেক্টর খুব ভালো, ঋণ পাচ্ছে, আসলে তো ঋণ তাদের কাছে তেমন যাচ্ছে না। সহায়তা খুব যে যাচ্ছে, তা তো মনে হয় না। আমাদের কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনশীল খাত হচ্ছে ছোট-মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্য খাত। এগুলো পণ্য উৎপাদন করে। সেবা উৎপাদন করে। এগুলো যদি বাড়ানো যেত, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কমে যেত। সেদিকে তেমন খেয়াল নেই।
এখন এফডিআই আসবে কী করে বাংলাদেশের অবস্থা যে স্থিতিশীল নয়, রাজনৈতিক অবস্থা কিছুটা টালমাটাল, এটা তো লোকজন জানে। নির্বাচনের পরও যদি এই অবস্থা থাকে, তাহলে এফডিআই আসা, বাইরে থেকে বিনিয়োগ আসা কঠিন হবে। এটা না এলে কিন্তু আমাদের রিজার্ভ বাড়বে না। তখন আমাদের টাকার মূল্যও যে বাড়াতে পারব, সেটাও মনে হয় না। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক, এমনকি বাস্তবায়নকারী আমলারা—মানুষ যে একটা মতামত দেয়, সেটার কিন্তু কোনো কিছুই তাঁরা আমলে নিতে চান না। লোকজন যখন বলছে, বিশেষজ্ঞরা যখন কোনো কিছু বলছে, সেটা শোনা দরকার। এটা কিন্তু অন্য কোনো দেশে হয় না। বিভিন্ন দেশে থিংকট্যাংক আছে। মুক্তবুদ্ধির চিন্তা যারা করে, তাদের কথা শোনা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা খুব কমই। যারা ক্ষমতার বলয়ে থাকে, যাদের আর্থিক ক্ষমতা আছে, তাদের ধারণা তারাই সব জানে। তারাই সব করতে পারে। জনগণকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে তাদের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, বিশেষ করে নীতিনির্ধারক ও আমলাদের মধ্যে। এটাই আমাদের একটা বড় সমস্যা। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আমরা স্থায়ী টেকসই উন্নয়নের দিকে যেতে পারব না।
লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক; অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
এসআইএস