ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

রোহিঙ্গা ইস্যু: যুক্তির পথে হাঁটতে হবে

সারা মনামী হোসেন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১২
রোহিঙ্গা ইস্যু: যুক্তির পথে হাঁটতে হবে

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মত পরিস্থিতি। দেশের জনগণ যখন একদিকে দ্রব্যমূ্লের ঊর্ধ্বগতি , বিদ্যুৎ সমস্যা, পানি সমস্যা এমনকি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নাভিশ্বাস ফেলছে, তখনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সাম্প্রতিক দাঙ্গার হল্কা তাপ ছড়াচ্ছে আবারো।

রাজনীতির পাশাপাশি জনগণের চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে আবেগ আর যুক্তির তর্ক ।

কেউ কেউ যখন ভাবছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের এইসব অসহায় মানুষদের সাহায্য করা উচিৎ । তখনই অনেকে ভাবছেন, এই সাহায্যের মাসুল বাংলাদেশকে খুব খারাপভাবেই দিতে হবে। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ’ পৃথিবীর ভৌগলিক সীমানার বাধা পেরিয়ে মানবতার জয় হোক । কিন্তু প্রতিটি রাষ্ট্রকেই তার নিজ স্বার্থ বজায় রেখেই কাজ করতে হয় । আর তাই এক্ষেত্রে যুক্তি এবং বাস্ততার দিকটিও মাথায় রাখা জরুরি।

প্রথমেই দেখি ছোট্ট এ দেশটির সামর্থ্য কতটুকু ?

প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এই দেশের মাথাপিছু আয় মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার এবং মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে । দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ সংকট, পানি সংকট, গ্যাসের সংকট, দুর্নীতি, নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা । ৩৬ শতাংশ লোক তাদের প্রতিদিনের খাবারটাই যোগাড় করতে পারে না। এভাবে যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত তার মৌলিক চাহিদা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে , সেখানে আরও কয়েক লাখ মানুষকে সাহায্য করার মত অবস্থা নেই। অনেকেই বলছেন, ১৯৭১ সালে ভারত সরকার তো বাংলাদেশের মানুষদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছিল । তাহলে আমরা কেন পারব না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এ জাতিগত দাঙ্গার সাথে কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের তুলনা চলে? মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এককোটি শরণার্থীকে আশ্রয়দানকারী ভারতের যে সামর্থ্য সে সময় ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রেরই নিজ স্বার্থের বাইরে গিয়ে অন্যের উপকার করার নজির নেই। তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের হামলায় শরণার্থীর স্রোতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার উপর যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ পড়েছিল তাতেই তৎকালীন ক্ষমতাশীল কংগ্রেস সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে । এছাড়া এ সময়ে সৃষ্ট  রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও তাদের উপর চাপ ফেলেছিল। আর এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তারা শরণার্থীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সে জন্য মুক্তিবাহিনীকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । এত কথার পরে মূল ব্যাপারটি হল, বাংলাদেশের মানুষ লড়েছিল তাদের স্বাধীনতার জন্য আর মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা হল নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে নিধনের চেষ্টা। একটি দেশের স্বাধীনতার সাথে বিষয়টি মোটেও তুলনীয় নয় । এরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছে না, তাদের দেশ তাদের ফিরিয়ে না নিয়ে বরং অন্যদেশে জোর করে ঠেলে দিচ্ছে । বেশিরভাগই বিতাড়িত হয়ে আজ  এ দেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ।    

১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ‘ মিয়ানমারকরণ ’ নীতি গ্রহণ করে বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসীদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে এবং রোহিঙ্গাদের মুসলিম ও অ-মিয়ানমার হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে। এরপর ১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালে অপারেশন ‘কিং ড্রাগন’ নামে গোষ্ঠী অভিযান শুরু করলে তারা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। এসব পালিয়ে আসাদের মধ্যে কক্সবাজার ও নয়াপারায় ৩৫ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে। আরও ৩ লাখ দেশের আনাচে  কানাচে ছড়িয়ে আছে। বিষয়টি এমন কোন পর্যায়ে নেই যে মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেবে বা তারা নিজেরাই ফিরে যাবে। উপরন্তু তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার। মাদক ও চোরাচালিন ব্যবসার সাথে যেমন নিজেরদের জড়িয়েছে , তেমনি দেশের বাইরে এ দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে । এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষণœ হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ছে। এখন নিজ দেশের অর্থনীতি যদি তাদের কারণে বিশ্ববাজারে হুমকির সম্মুখীন হয় তবে তা থেকে সতর্ক হওয়া উচিৎ নয় কি?

এ দাঙ্গার কারণে অনেকেই এখন মুসলমান- মুসলমান ভাই ভাই এই কথা বলছেন। মুসলমান হিসেবে আমাদের তাদের সাহায্য করা কর্তব্য। ভাই , অন্য দেশের মুসলমান ভাইদের সাহায্য করার আগে একবার নিজের পাশের বাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনি যখন খেতে বসেন তখন কি একবারও জানতে চান আপনার প্রতিবেশী আজ অভুক্ত কিনা? পত্রিকায় যখন পড়েন সন্ত্রাসের শিকারে কারো প্রাণ হারানোর খবর তখন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান কতজন? সিডর  আইলায় ক্ষতিগ্রস্তরা আজও মানবেতর জীবনযাপন করছে তাদের জন্য কিছু করা কি আপনাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?

এবার দেখি বিশ্ব কি বলে?

বিশ্বের অন্য অংশের দিকে তাকাই। মিয়ানমারের এই নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্ব নিশ্চুপ আবার এদিকে চাপ প্রয়োগ করছে বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য। বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো এই সংবাদ প্রকাশ করছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় না দিয়ে, নির্যাতন করে, আশ্রয়কেন্দ্র ভেঙ্গে তাদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিচ্ছে । রেজিস্ট্রেশনবিহীন রোহিঙ্গাদের হয় দেশে নয়ত জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মানবতার কি চরম বিপর্যয়!

রয়টার্স , নিউইয়র্ক টাইমস, এএফপি এর  মত মিডিয়ার ভাষ্যমতে, এ দেশে রোহিঙ্গারা নির্যাতিত সংখ্যালঘু এবং তাদের সাথে যা ব্যবহার করা হচ্ছে তা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এদের কাছে এটাই প্রশ্ন , অবৈধ অভিবাসনের  ক্ষেত্রে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এর মত দেশ কখনও কাউকে ছাড় দিয়েছে কি? তারা তো আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশ নয়। উন্নত এসব রাষ্ট্র তো চাইলেই পারে কয়েক লাখ লোককে সহজেই আশ্রয় দিতে । ভালভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিতে । তবে কেন তারা তা করে না ?

আমরা জানি , জনশক্তি রপ্তানির অংশ হিসেবে দেশের বাইরে বহু মানুষ আছে । ভালভাবে একটু বেঁচে থাকার জন্য পাড়ি জমিয়েছে দূর দেশে । বৈধ উপায়ে গিয়েও , মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে অনেককেই। এ জন্যই ছোট্ট একটা ঘরে গাদাগাদি করে থাকতে গিয়ে আগুনে দম বন্ধ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে আসতে হচ্ছে লাশ হয়ে । নিজেদের উন্নত বলে দাবি করা এইসব রাষ্ট্র কি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেনা? এছাড়া ইতিহাসের দিকে একটু তাকালেই দেখা যায় ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন  এসব যুদ্ধে নিরীহ মানুষ হত্যা করে মানবতার বিরল দৃষ্টান্তই যে তারা স্থাপন করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গা প্রসঙ্গে বর্হিবিশ্বের অন্যান্য দেশ বা ইসলামী রাষ্ট্রসমূহ , আন্তর্জাতিক সংস্থা কারও তেমন কোন উচ্চবাচ্চ্য পাওয়া যাচ্ছে না । সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে , এদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে । তাদের বক্তব্য, “ ....সীমান্ত বন্ধ রাখার মধ্য দিয়ে বাংলাদশে মানবাধিকার রক্ষায় তার অঙ্গীকার লঙ্ঘন করছে। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা লোকজনরে সুরক্ষার র্স্বাথে সীমান্ত অবারতি রাখার ব্যাপারে বাংলাদশেরে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ” তারা মনে করে বিষয়টি অপ্রত্যাশিত বোঝার মত হলেও “... বাংলাদশে সীমান্ত উন্মুক্ত রাখলে আর্ন্তজাতকি সম্প্রদায়ও বাংলাদশেরে সহায়তায় এগিয়ে আসবে বলে আমাদরে বিশ্বাস । ” এই সংস্থাগুলো কোথায় থাকে যখন বিএসএফ এর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী পাঁচ ঘন্টা ধরে সীমান্ত কাঁটায় ঝুলতে থাকে? যখন আমরা প্রায়ই দেখি নিরাপরাধ কিছু মানুষ সীমান্তে বীভৎস নির্যাতনের শিকার হচ্ছে , গুলিতে মারা পড়ছে, তখন তাদের মানবাধিকারের তত্ত্ব কোথায় থাকে তা তারাই ভাল বলতে পারবে।

আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার ব্যাপারটি আশা না করাই শ্রেয়। আজ পর্যন্ত প্রথম বিশ্বের দেশগুলো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে কেমন, কতটুকু এবং কিভাবে সাহায্য করেছে তার ভুরি ভুরি উদাহরণ পাওয়া যাবে! যেখানে এখন মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করার কথা সেখানে তারা কিছুই বলছে না । একতরফাভাবে পশ্চিমা বিশ্ব কেবল এদেশের উপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে । তাছাড়া বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমারের প্রতিবেশী রাষ্ট্র আরও তিনটি - ভারত , থাইল্যান্ড , চীন । এ বিষয়ে এ তিন রাষ্ট্রের ভূমিকাও মনে হয় অত্যন্ত সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার হল , মিয়ানমারের গনতন্ত্রের নেত্রী , যিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের এতোগুলো বছর গৃহবন্দি হয়ে থাকলেন তিনি জানতে চান , ‘ রোহিঙ্গা কি ? ’। তার দেশে, তারই জনগণের একাংশের উপর যখন নরক ভেঙ্গে পড়ছে , আতংকিত উদ্ভ্রান্ত মানুষগুলো যখন বাঁচার আশায় আরেকদেশের কাঁটাতারের বেড়া ভাঙছে , তখন তিনি ২০ বছর আগে পাওয়া নোবেল পুরস্কারটি গ্রহণে ব্যস্ত । এমন কোন নির্দেশনাও পাওয়া যাচ্ছে না , যা থেকে বোঝা যাবে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন আদেও বন্ধ হবে কিনা অথবা বন্ধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে কিনা।

এ কথা সত্যি যে , রোহিঙ্গাদের সাথে যা হচ্ছে তা অবশ্যই অমানবিক । নিজ দেশেই অধিকার ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার মত দুর্ভাগ্য আর নেই। তাই সহানুভূতি থাকার পরও আগে বাস্তবতার পক্ষে যুক্তিগুলো বুঝতে হবে।

দেশপ্রেম বলতে বোঝায় না , নিজের দেশের মানুষকে বিপদে ফেলে অন্যের উপকার করতে হবে । দেশপ্রেম তাই যেখানে আপনি আপনার দেশ এবং দেশের মানুষের কথা আগে ভাববেন । তাই তার জন্য যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার ততোটুকু কঠোর হতেই হবে । বিশ্বের কাছে নিজেদের মানবিক পরিচয় দিতে গিয়ে যদি দেশেরই ক্ষতি হয়ে যায় , তাহলে লাভটা কি হবে ? এমনিতেই এদেশে লোকসানের পাল্লাটা একটু বেশিই ভারী । বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা অতি জরুরি । এছাড়া বিশ্ব গণমাধ্যমেও বিষয়টি অবহিত করা প্রয়োজন । আর পালিয়ে আসা অসহায়দের জন্য আপাতত বাংলাদেশ সরকার সীমান্তে খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থার চেষ্টা করতে পারে ।

পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও উচিৎ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য  সংঘবদ্ধ হওয়া । নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান । এইভাবে যদি তারা পরনির্ভরশীল হয়ে ধুকতে থাকার চিন্তা করে , তবে অচিরেই যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই ।

এই মুহূর্তে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রয়োজন আবেগে গা না ভাসিয়ে যুক্তি গ্রহণ করা , বাস্তবতাকে চোখ খুলে দেখা । আমাদের ভাবতে হবে প্রতিদিন  একটু ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে । গুম, হত্যা, দুর্নীতি, সীমান্তে হত্যা, দুর্ঘটনা, দুর্যোগ ইত্যাদির সাথে যুঝতে হচ্ছে। ভুলে গেলে চলবে না দেশে রোহিঙ্গার সাথে শরণার্থী হিসাবে ৫ লাখ বিহারিও আছে । এমতাবস্থায় যদি সীমান্ত খুলে দেওয়া হয় তবে দেশের অভ্যন্তরে পরবর্তীতে বিশৃঙ্খলা বা চরমপন্থার উদ্ভব ঘটবেনা তাও নিশ্চিতভাবে বলা যায়না। তাই সীমান্ত খুলে দেয়ার মত ভুল মোটেও করা উচিৎ হবে না বলেই মনে করি।  

সারা মনামী হোসেন
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাবি

বাংলাদেশ সময় ১০৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১২
এমএমকে- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।